যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনেয়াপোলিস শহরে রোববার পুলিশের গুলিতে আবারও এক কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর জায়গা থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে ওই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়। খবর রয়টার্সের।
Advertisement
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং ব্রুকলিন সেন্টার শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মিনেয়াপোলিসের ব্রুকলিন সেন্টার নামক জায়গায় ওই ব্যক্তিতে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। এরপর প্রায় একশো লোক রাস্তায় নেমে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের একজনের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ছিল ‘জর্জ ফ্লয়েডের জন্য ন্যায়বিচার’।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, এক পর্যায়ে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি হলে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে দু’জন আহত হয় যাদের মধ্যে একজনের রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে কিছু বিক্ষোভকারী সেখান থেকে সরে যান। তবে কোনো টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়নি।
Advertisement
বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে পাথরের টুকরা ছুড়েছেন। টুইটারে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ির ওপর লাফালাফি করছে। নিহত ব্যক্তির স্বজনরা জানিয়েছেন, তার নাম ডন্টে রাইট (২০)।
এক বিবৃতিতে ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, দুপুর ২টার কিছু আগে রাস্তায় ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় কর্মকর্তারা ওই ব্যক্তির গাড়ি থামায়। পুলিশ নিশ্চিত হয় ওই ব্যক্তির গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
পুলিশ তাকে গ্রেফতারের উদ্যোগ নিলে সে গাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে। তখন একজন পুলিশ কর্মকর্তা গুলি ছোড়ে ওই ব্যক্তিকে আহত করে। আহত অবস্থায় সে গাড়ি চালিয়ে কয়েক ব্লক পর্যন্ত যায় এবং আরেকটি গাড়িকে আঘাত করে। এরপর তার মৃত্যু হয়।
জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের বিচার কয়েকদিন আগে শুরু হওয়ার পর থেকে মিনেয়াপোলিসের পরিস্থিতি উত্তেজনাকর অবস্থায় রয়েছে। গত বছরের মে মাসে ফ্লয়েডের গলায় চৌভিন নয় মিনিট ধরে হাঁটু চেপে রাখার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে ও পরবর্তীকালে সারা বিশ্ব জুড়ে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
Advertisement
এমকে/জেআইএম