করোনা পরিস্থিতিতে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করতে দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের (খুসিক) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
Advertisement
তিনি বলেছেন, ‘খুলনার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত থাকায় মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই। লকডাউনে খুলনার বাইরে থেকে আসা কাঁচামালের মোকামগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।’
রোববার (১১ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
সিটি মেয়র বলেন, ‘লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের অকারণে ঘোরাঘুরি বন্ধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। খুলনা নগরীর বাইরে থেকে জরুরি সেবা ও রোগী বহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো পরিবহন প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সন্ধ্যার পর দোকানপাট যেন খোলা না থাকে সে জন্য প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কার্যকর ভূমিকা রাখা দরকার।’
Advertisement
সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান যেকোনো মূল্যে খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি খুলনায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের জনসমাবেশ পরিহারের আহ্বান জানান।
সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ‘খুলনায় করোনার টিকা পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কেন্দ্রে ভিড় এড়াতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রহীতাকে টিকা নেয়ার জন্য ফোনে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।’
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন বিন জামান বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আসন্ন রমজানে তারাবি নামাজের সময় মসজিদে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে অবহিতকরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। করোনাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগে মাদকের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদেরকে সজাগ থাকতে হবে।’
Advertisement
মো. আলমগীর হান্নান/এসজে/জিকেএস