কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদন, কেনা-বেচা ও পরিবহন আসন্ন লকডাউনের আওতামুক্ত চায় বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)।
Advertisement
এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে শনিবার (১০ এপ্রিল) বাপার সভাপতি এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, সরকার দেশব্যাপী করোনা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন হতে পারে বলে একটি ঘোষণা এসেছে। করোনা সংক্রমণ যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে দেশের মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকারের এমন পদক্ষেপকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকার বরাবরই কৃষক ও কৃষিবান্ধব। দেশে গত বছরের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি করোনার আর্থিক সংকট মোকাবিলায় কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের সাথে জড়িত সকল কর্মকাণ্ড সচল রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
Advertisement
‘আমরা আশা করছি, সরকার গতবারের মতো এবারের আসন্ন লকডাউনেও কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকাণ্ড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলমান রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। কৃষক যেন নিরবিচ্ছিন্নভাবে পণ্য বিপণন করতে পারেন এবং তাদের কাছ থেকে সংগৃহীত কাঁচামাল যেন প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয় করে কারখানায় প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে মানুষের হাতে খাদ্যপণ্য পৌছে দিতে সক্ষম হয়, এ বিষয়গুলো লকডাউনের আওতামুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। আমরা কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা আসন্ন লকডাউনের আওতামুক্ত রাখতে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সাতদিনের বিধিনিষেধ চলছে। আজ রোববার সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আগামী দু-দিনও এমন বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
গত ৯ এপ্রিল সকালে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। কিন্তু এতেও কমেনি জনগণের উদাসীনতা। এ অবস্থায় জনস্বার্থে সরকার আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।
পরে ওইদিন দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবার কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাতদিনের জন্য এই লকডাউন দেয়া হবে।
Advertisement
তিনি আরও জানান, এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, শিল্পকারখানা।
আরএমএম/এমএসএইচ/জিকেএস