চেন্নাই সুপার কিংসের নেট বোলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল দিল্লির ২১ বছর বয়সী স্থানীয় ক্রিকেটার আশিষ পান্ডের। এ স্বপ্ন সত্য করতে গিয়ে তিনি পড়েছেন প্রতারকের পাল্লায়, হারিয়েছেন ৫০ হাজার রুপি। রাকেশ গোস্বামী এক ব্যক্তি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০ হাজার রুপি আত্মসাৎ করেছে আশিষের কাছ থেকে।
Advertisement
শুক্রবার চেন্নাইয়ে শুরু হয়েছে আইপিএলের ১৪তম আসরের খেলা। তবে চেন্নাইয়ের খেলা হচ্ছে মুম্বাইয়ে। তাই আশিষকে ফ্লাইটে করে মুম্বাইয়ে ডেকে নেন রাকেশ। পরে তাদের দেখা হলে একটি ভুয়া পরিচয়পত্র দেখিয়ে আশিষের কাছ থেকে ৫০ হাজার রুপি নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান রাকেশ।
এহেন প্রতারণার শিকার হয়ে মেরিন ড্রাইভ পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করেছেন ২১ বছর বয়সী আশিষ। তিনি মূলত দিল্লিতে স্থানীয় পর্যায়ে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলে থাকেন। তার বাবা একজন ট্রাক্টর চালক।
দায়ের করা এফআইআর মোতাবেক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে রাকেশের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে আশিষের। রাকেশও নিজের পরিচয় দিয়েছিল ক্রিকেটার হিসেবে এবং জানিয়েছে ২০১৯ সালের আইপিএলে তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের নেট বোলার ছিলেন।
Advertisement
সম্প্রতি একটি মোবাইল নম্বর থেকে আশিষকে ফোন করে চেন্নাই সুপার কিংসের নেট বোলার হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেন রাকেশ। যেখানে প্রতিদিন ৩ হাজার রুপি করে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। আশিষ এই প্রস্তাবে রাজি হলে তার কাছে ৫০ হাজার রুপি দাবি করেন রাকেশ।
আশিষকে আরও জানানো হয়, তিনি মুম্বাই পৌঁছতে পৌঁছতে পরিচয়পত্র এবং চেন্নাইয়ের জার্সিও প্রস্তুত হয়ে যাবে। সেই মোতাবেক গত ৩ এপ্রিল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে মুম্বাই পৌঁছান আশিষ। বিমানবন্দরে নেমে রাকেশকে ফোন করলে, তিনি আশিষকে নারিমান পয়েন্টের একটি হোটেলে যেতে বলেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, হোটেলের কাছে গিয়ে রাকেশকে ১০ হাজার রুপি নগদ দিয়েছেন আশিষ। পরদিন সকালে বাকি ৪০ হাজার রুপি একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেন তিনি। তখন রাকেশকে ফোন করা হলে তিনি আশিষকে বলেন যে, দুই ঘণ্টার মধ্যে পরিচয়পত্র তৈরি হয়ে যাবে।
কিন্তু এরপর আর রাকেশের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেননি আশিষ। বারবার মোবাইল বন্ধের বার্তাই পাচ্ছেন তিনি। তাই উপায়ন্ত না দেখে মেরিন ড্রাইভ পুলিশের কাছে গিয়ে সেখানের থাকায় এফআইআর দায়ের করেছেন।
Advertisement
এফআইআরের সত্যতা নিশ্চিত করে এক পুলিশ অফিসার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘প্রতারণার বিষয়ে আমরা একটি এফআইআর রেজিস্টার করেছি। অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। পাশাপাশি এটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে, তিনি আর কারও সঙ্গে প্রতারণা করেছেন কি না।’
সুত্রঃ মুম্বাই মিরর
এসএএস/এমএস