১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে যে মশাল প্রজ্বলন করেছিলেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা, শনিবার সন্ধ্যায় বিউগলের করুণ সুরের মধ্যে দিয়ে নিভে গেলো সেই মশাল। যার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলো ১০ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের।
Advertisement
৩১ ডিসিপ্লিনে অংশ নেয়া প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ক্রীড়াবিদের মহামিলনমেলা ছিল এই বাংলাদেশ। করোনার ঝুঁকি, নানা প্রতিকূলতা ঠেলে শেষ হলো দেশের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের আনুষ্ঠানিক সমাপনী ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি।
সমাপণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। সমাপনী অনুষ্ঠানের ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন বিওএ সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা ও বিওএ সহ-সভাপতি ও স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ মামুনসহ অন্য কর্মকর্তারা।
করোনা মহামারির কারণে সমাপনী অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত আকারে আয়োজন করে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)। দর্শক ছিল না, ছিল না কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
Advertisement
সন্ধ্যা ৭টায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। এরপর ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি।
জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয় টুঙ্গিপাড়া থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম পর্যন্ত মশাল যাত্রার চিত্র, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গেমসের শুভ উদ্বোধনী বক্তব্য এবং ৩১টি ডিসিপ্লিনে গেমসে অংশ নেয়া ক্রীড়াবিদদের ক্রীড়াশৈলীর বিভিন্ন খণ্ডচিত্র। সাড়ে ৭টার দিকে শুরু হয় লেজার শো।
পৌনে ৮টার দিকে বিউগলে করুণ সুরের মধ্যে মশাল নিভে যাওয়ার পর আতশবাজির আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে আকাশ।
আরআই/আইএইচএস/এমকেএইচ
Advertisement