গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বসানো হয় অস্থায়ী হাত ধোয়ার স্থান। বছর গড়াতেই হারিয়ে গেছে সেগুলো। কোথাও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে খালি বেসিন, কোথাও পানির ট্যাংকি। এসব বেসিন ও পানির ট্যাংকিতে বৃষ্টির পানি জমে ডেঙ্গুবাহী মশা জন্মানোর আশঙ্কা কছেন বিশেষজ্ঞরা।
Advertisement
ডেঙ্গু মশার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আগামী বর্ষার আগেই পরিত্যক্ত এসব বেসিন, ট্যাংক পরিস্কার করা বা সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি ডোবা, নর্দমা, বাড়ির ছাদসহ যেসব স্থানে পানি জমে সেসব স্থানে নিয়মিত পরিস্কার করার তাগিদও দিয়েছেন তারা।
শনিবার (১০ এপ্রিল) এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক, কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার জাগো নিউজকে বলন, ‘গত বছরে করোনার কারণে মানুষের হাত ধোয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে যেসব বেসিন ও পানির ট্যাংক দেয়া হয়েছে, সেগুলো যদি অকেজো থাকে বা যত্রতত্র পড়ে থাকে এবং সেগুলো যদি ঠিক করে না দেয়া হয় বা সরিয়ে ফেলা না হয়, তাহলে এসব স্থানে বৃষ্টির পানি জন্মে এডিস মশা জন্মাতে পারে।’
এ বছরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কেমন হতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না উল্লেখ করে এই শিক্ষক বলেন, ‘এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। বৃষ্টি হলে সবকিছু দেখে বোঝা যাবে যে এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতি কেমন হবে।’
Advertisement
লকডাউনে কারণে এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতি গত বছরের মতোই স্থিতিশীল থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন লকডাউনে ঘরে থাকেন তখন যেকোনো ভাইরাল ডিজিসের ট্রান্সমিশন কমে যায়। গত বছর লকডাউন থাকার কারণে আমরা ডেঙ্গু কিংবা চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ কম দেখেছি। এর আরেকটা কারণ আছে, লকডাউনে মানুষ যখন বাসায় থাকেন তখন তিনি তার আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখেন। এসময় মানুষের কাজকর্ম কম থাকে, ব্যস্ততা কম থাকার কারণে তিনি বাড়ির আশপাশটা ঘুরে দেখেন। আশপাশের কোথাও এডিস মশা জন্ম নিলে, নিজেরাই টেক কেয়ার করেন। পরিত্যক্ত স্থানে জমে থাকা পানি পরিস্কার করেন।’
বছরের শুরুর দিকে কিউলেক্স মশার অত্যাচারে রাজধানীবাসী নাকাল ছিলেন। তবে গত কয়েকদিনের আগে হওয়া ঝড়ের পর রাজধানীতে কমেছে মশার প্রাদুর্ভাব।
এ বিষয়ে কবিরুল বাশার বলেন, ‘এখন কিউলেক্স মশা কমে যাবে। এটা প্রাকৃতিক কারণেই। একটা তো ঝড় হলো, তারপরে গরম বেড়ে গেছে। এসব কারণে কিউলেক্স মশা কমে আসবে আস্তে আস্তে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কমতেই থাকবে। তবে বৃষ্টি হলে এডিস মশার উপদ্রপ বাড়তে থাকবে।’
এসএম/ইএ/জিকেএস
Advertisement