আইপিএলের মতো স্নায়ুচাপের টুর্নামেন্টে উদ্বোধনী ম্যাচ, করতে হবে আবার শেষ ওভার। হার্শাল প্যাটেল সেই চাপটাকে এভাবে জয় করলেন! শেষ ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে নিলেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট, সবমিলিয়ে শিকার ৫টি।
Advertisement
ডানহাতি এই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন কাইল জেমিসন, মোহাম্মদ সিরাজরা। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বোলাররা শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৩১ রান খরচ করে তুলে নিয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ৫ উইকেট।
ফলে ক্রিস লিন, সূর্যকুমার যাদব, ইশান কিশানরা একটা সময় বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখালেও শেষ পর্যন্ত পুঁজিটা খুব বড় হয়নি মুম্বাইয়ের। ৯ উইকেটে ১৫৯ রানে থেমেছে রোহিত শর্মার দল। অর্থাৎ জিততে হলে কোহলির ব্যাঙ্গালুরুকে করতে হবে ১৬০।
চেন্নাইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ দেখেশুনে করেছিল মুম্বাই। রোহিত শর্মা আর ক্রিস লিন ২৪ বলে গড়েন ২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। রোহিতের রানআউটে (১৫ বলে ১৯) ভাঙে এই জুটি।
Advertisement
তারপর সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে ঝড়োগতিতে দলকে এগিয়ে নেন লিন। ৪২ বলে তাদের জুটি থেকে আসে ৭০ রান। এই জুটিটি ভাঙে সূর্যকুমারের আউটে। দীর্ঘকায় কাইল জেমিসনকে যে ওভারে ছক্কা হাঁকান, সেই ওভারেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন সূর্য। ২৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় করেন ৩১ রান।
দুর্ভাগ্য লিনের। হাফসেঞ্চুরির একদম দোরগোড়ায় এসে হতাশায় ডুবতে হয়েছে তাকে। ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই অস্ট্রেলিয়ান। ৩৫ বলে গড়া তার ৪৯ রানের ইনিংসে ছিল ৪ চার আর ৩ ছক্কা।
এরপর হার্দিক পান্ডিয়া সুবিধা করতে পারেননি (১০ বলে ১৩)। হার্দিকের আউটের পরই খেই হারিয়ে ফেলে মুম্বাই। বারকয়েক জীবন পাওয়া ইশান কিশান ১৯ বলে ২৮ করে ফেরেন। ব্যর্থ হন কাইরন পোলার্ড (৯ বলে ৭), ক্রুনাল পান্ডিয়াও (৭ বলে ৭)। ফলে মুম্বাইয়ের পুঁজিটা আর বড় হয়নি।
হার্শাল প্যাটেল ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় নিয়েছেন ৫টি উইকেট। জেমিসন সমান ওভারে ২৭ রানে নেন ১ উইকেট। সিরাজ উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ২২।
Advertisement
এমএমআর/এএসএম