করোনা সংক্রমণের পর গত বছর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের মরদেহ দাফন বা সৎকার নিয়ে ভীতির সৃষ্টি হয়েছিল। ভয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা অনেকেই করোনায় মৃতদের মরদেহ দাফনে এগিয়ে আসেননি।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মরদেহ দাফন বা সৎকারে এগিয়ে আসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। সহযোগীদের নিয়ে গঠন করেন ‘টিম খোরশেদ’। সারাদেশে আলোচিত খোরশেদ পান ‘করোনা বীর’ উপাধিও।
তবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে একপর্যায়ে সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হন কাউন্সিলর খোরশেদ। তবে সুস্থ হয়ে আবারও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মরদেহ দাফন ও সৎকারের কাজে নেমেছেন খোরশেদ।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত সাইফুল্লাহ মিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় তার পরিবার ‘টিম খোরশেদ’কে লাশ দাফনের আহ্বান জানান।
Advertisement
খবর পেয়ে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার টিম শুক্রবার মরহুমের গোসল ও জানাজা সম্পন্ন করেন। এসময় কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার টিমের হাফেজ শিব্বির, আলী সাবাব টিপু, আনোয়ার হোসেন, মো. রাফি, সুমন দেওয়ান, আশরাফুল নীরব প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মরদেহ দাফনের জন্য নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে পাঠানো হয়। এ নিয়ে মোট ১৬৯ জন করোনা আক্রান্ত মানুষের মরদেহ দাফন ও সৎকার করল টিম খোরশেদ। এর মধ্যে শুধু সিদ্ধিরগঞ্জে ১২টি মরদেহ দাফন করল ‘টিম খোরশেদ’।
এস কে শাওন/এএএইচ/জেআইএম
Advertisement