সরকারঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধের পাঁচদিনের মাথায় খুলে দেয়া হয়েছে দেশের সব শপিংমল ও দোকানপাট। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব শপিংমল-দোকানপাট চলার কথা থাকলেও রাজধানীর মিরপুর এলাকায় তা মানা হচ্ছে না। অধিকাংশ শপিংমলগুলোর প্রবেশপথে জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা নেই।
Advertisement
বিক্রেতারাও ঠিকমতো হাত স্যানিটাইজ করছেন না। কেনাকাটা করতে আসাদের স্যানিটাইজের ব্যবস্থা করছেন না বা করতে উদ্বুদ্ধও করছেন না। এমনকি বিক্রেতাদের অনেকেই মাস্ক পরছেন না। শপিংমল খুলে দেয়ার প্রথম দিন আজ শুক্রবার (৯ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর মিরপুর-১ ও মিরপুর-১০ নম্বর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মিরপুর-১ নম্বরের ক্যাপিটাল টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সের প্রবেশপথে জীবাণুনাশকের কাঠামো রয়েছে। কিন্তু তা কাঠামোতেই সীমাবদ্ধ। সেখানে কোনো ধরণের জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা নেই। ফলে কোনো ক্রেতা যদি করোনার জীবাণু নিয়ে আসেন, তা নিয়েই বিনা বাধায় শপিংমলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
শপিং কমপ্লেক্সের জুতার দোকানি বায়োজিত দাবি করেন, তারা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করছেন। ক্রেতাদের স্যানিটাইজ করে দেয়ার ব্যবস্থা রেখেছেন এবং তাদেরকে তাগিদ দিচ্ছেন।
Advertisement
তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে কথা বলার আগে যখন এই প্রতিবেদক তার দোকানের সামনে যান, তখন বায়োজিতকে মাস্ক ছাড়াই বসে থাকতে দেখা গেছে। তখন তার কাছাকাছি আরও কয়েকজন দোকানদার বসেছিলেন। তারাও মাস্ক ছাড়াই ছিলেন।
মিরপুর-১ নম্বরের মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্স, ক্রোকারিজ মার্কেটসহ সেখানকার অন্য কোনো দোকানে প্রবেশপথে স্যানিটাইজ করার কোনো ধরণের ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।
তবে মিরপুর-১০ নম্বরের ইজি সুপারশপ, স্মার্ট চয়েজের প্রবেশপথে স্যানিটাইজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং যারা প্রবেশ করছেন তাদেরকে স্যানিটাইজ করানো হচ্ছে।
তাছাড়া মিরপুর-১০ নম্বরের দেখা অন্য শপিংমলগুলোয় প্রবেশপথে জীবাণুনাশকের কোনো ব্যবস্থা দেখা যায়নি। কোনো কোনো দোকানে গেলে স্যানিটাইজের ব্যবস্থা করা হলেও অধিকাংশ দোকানে সেই ব্যবস্থাটুকুও নেই।
Advertisement
রঙজয়ী শপিং সেন্টারের প্রবেশপথেও স্যানিটাইজের ব্যবস্থা নেই। তবে এর দোকানি শামীম জাগো নিউজের কাছে দাবি করেন, ‘ক্রেতাদের ক্ষেত্রে হ্যান্ডস্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক। ২-৩ জনের বেশি ঢুকতে দিই না। স্যানিটাইজার আমরা নিজ হাতে ক্রেতাদের স্প্রে করে দিচ্ছি।’ তবে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করলে তার দাবির সত্যতা মেলেনি।
পিডি/এএএইচ/জেআইএম