দেশজুড়ে

রাজবাড়ীতে লেপ তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

অগ্রহায়ণের শুরুতে সারাদেশে দিনে দিনে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে বা শীতের উষ্ণতা ছড়াতে লেপ ও তোষকের তুলনা নেই। আর এ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রাজবাড়ীর লেপ তোষকের কারিগররা।তাই সারাদেশের মতো রাজবাড়ীর প্রতিটি উপজেলায় লেপ তোষকের কারখানা ও দোকানে শীতের শুরুতে শীত বরণের প্রস্তুতি চলছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিত্য-নতুন অনেক ধরনের শীত বস্ত্র বাজারে থাকলেও লেপ ব্যবহারে বাড়তি আগ্রহ রয়েছে সবার মধ্যে। কারণ প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে লেপের ব্যবহার।লেপের পাশাপাশি শীতের উষ্ণতা আনতে বিছানায় তোষকের প্রয়োজনীয়তা অনেকে মনে করেন। সে কারণে তোষকও বেশিকিরে তৈরি করতে দেখা যায় প্রতিটি দোকানে।রাজবাড়ী সদরের শহরের বাজার এলাকার প্রায় ২০টির অধিক কারখানা ও দোকান রয়েছে। যাতে পুরাতন লেপ তোষকের তুলা পুনরায় মেশিনের সাহায্যে প্রস্তুুত করে। নতুন তুলা মিশিয়ে বা সম্পূর্ণ নতুন করে এগুলো তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ চলছে প্রতিটি কারখানা ও দোকানে। এছাড়া শীত মৌসুমে প্রতিদিন একটি কারখানায় ১৫ থেকে ২০টি করে লেপ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।লেপ তোষকের প্রায় ২০ ধরনের তুলা ব্যবহার করা হয়। যার বাজার মূল্য ৩৫ টাকা থেকে শুরু করে ২`শ টাকা পর্যন্ত।এদিকে জেলার বাকি উপজেলার লেপ তোষকের কারিগররাও ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানা গেছে।এছাড়া রেডিমেট লেপ তোষক নিয়ে এলাকার বিভিন্ন গ্রামগুলোতে ভ্যান বা মাথায় করে নিয়ে ফেরি করে বিক্রি করতেও দেখা য়ায় অনেক ফেরিওয়ালাকে।কারখানা ও দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় এক মাস ধরে তারা লেপ তোষকের অর্ডার নিয়ে কাজ করছেন। এখন পুরাে সিজন চলছে। শীতের শুরুতেই কাজের চাপ বেশি থাকে। তাছাড়া শীত জুড়েও কাজ থাকে। তবে শীত বাড়তে থাকলে কাজ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা। প্রতিটি লেপ তৈরি করতে প্রায় এক হাজার থেকে ১২`শ টাকা লাগে। তবে বর্তমানে তুলা ও লেপের কাপড়ের দাম বেশি হওয়াতে একটু বেশি খরচ পড়ছে।লেপের কাভার তৈরির দর্জি মো. আলাউদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি লেপের কাভার তৈরি করেন তিনি। যা থেকে প্রায় ৫`শ টাকা আয় হয় প্রতিদিন। এখন কাজ বেশি তাই কাজ করতেও ভালো লাগে।ক্রেতা আমিনুল জাগো নিউজকে জানান, তিনি তোষক তৈরি করতে এসেছেন। দামটা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে বলে মনে করছেন তিনি।লেপ তৈরির কারিগর আব্দুল গফুর ও কারিগর আবুল হাসেম জাগো নিউজকে জানান, তারা মহাজনের অধীনে কাজ করেন। মোটামুটি শীতের শুরুর দিকে কাজ ভালোই এবার। তবে তারা দিনে প্রায় ২০টির মতো লেপ তৈরি করতে পারেন। শীতের শুরুতে কাজ বেশি কিন্তু পরবর্তী সময়গুলো কাজ কোনোরকম থাকে।দোকান মালিক গোলাম মওলা, অচিন্ত কুণ্ডু ও মো. জাহিদ হাসান জাগো নিউজকে জানান, শীতের শুরুর দিকে কাজ ভালোই আছে। শীত যত বাড়বে তাদের কাজও তত বাড়বে বলে ধারণা করছেন। শীতে কাঁচামালরে দাম একটু বেশি হওয়ায় তাদের ব্যবসা কমে গেছে।এমজেড/পিআর

Advertisement