রোজা এমন এক ইবাদত। যা প্রমাণের কোনো সুযোগ নেই। বরং রোজা শুধু আল্লাহর জন্য রাখা হয়। আর আল্লাহ তাআলা নিজেই রোজা প্রতিদান দেবেন। কিন্তু রমজানের রোজা পালনকারীর রয়েছে বিশেষ ৫ মর্যাদা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতকে রমজান মাসে পাঁচটি জিনিস বিশেষভাবে দান করা হয়েছে, যা আগের (কোনো নবির) উম্মতকে দেয়া হয়নি। কী সেই ৫ মর্যাদা?
Advertisement
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতকে রমজান মাসে পাঁচটি জিনিস বিশেষভাবে দান করা হয়েছে, যা আগের (কোনো নবির) উম্মতকে দেয়া হয়নি। তাহলো-১. রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের ঘ্রাণের থেকে বেশি প্রিয়।২. ফেরেশতারা তাদের (রোজাদারের) জন্য ইফতার পর্যন্ত ক্ষমার দোয়া করতে থাকে।৩. তাদের (রোজাদারের) জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সাজানো হয়। এরপর আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন- অতিসত্বরই আমার নেক বান্দারা কষ্ট-ক্লেশ থেকে মুক্ত হয়ে তোমার কাছে আসবে।৪. এ (রমজান) মাসে দুষ্ট ও অবাধ্য শয়তানকে আবদ্ধ করে রাখা হয়। যার কারণে অন্যান্য মাসের মতো এই মাসে খারাপ কাজ সংঘঠিত হয় না।৫. রমজানের সর্বশেষ রাতে রোজাদারকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন- ‘হে আল্লাহর রাসুল! সেই রাত কি লাইলাতুল কদর?’রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন, ‘না’, বরং নিয়ম হলো- কাজ শেষ হলে মজদুরকে তার মজুরি দেয়া।
এ হাদিসের আলোচনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, রমজান মাস যেমন ফজিলতপূর্ণ। তেমনি এ মাসের রোজা পালনকারীর মর্যাদা ও রোজা রাখার উপকারিতাও অত্যাধিক।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে রমজান মাসের রোজা যথাযথভাবে পালন করা। রমজান মাসব্যাপী রোজা পালনের মাধ্যমে নিজেদের গোনাহমুক্ত করে নেওয়া। আল্লাহর কাছ থেকে রোজার প্রতিদান ও পুরস্কার গ্রহণের সর্বাত্মক চেষ্টা করা।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার জীবনে রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পাওয়ার পাশাপাশি আল্লাহর কাছ থেকে সন্তুষ্টি প্রতিদান পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস