জাতীয়

গ্লোবের টিকা কি নতুন ধরনের করোনা ঠেকাতে পারবে?

যুক্তরাজ্য ও আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) ছড়িয়ে পড়ায় দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ফলে বিদ্যমান টিকা এই করোনা প্রতিরোধে কতটা কার্যকরী তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।

Advertisement

এদিকে দেশের করোনার টিকা উদ্ভাবনের একমাত্র দাবিদার গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। দেশে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গ্লোবের টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশন্সের ম্যানেজার ও ইনচার্জ এবং টিকা আবিষ্কার গবেষক দলের সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সঙ্গে।

বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে মহিউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘যে প্রযুক্তিতে আমাদের টিকা তৈরি করেছি, মডার্না ও ফাইজারের টিকার প্রযুক্তি প্রায় একই। এই দুইটা ভ্যাকসিন জরুরি অনুমোদন নিয়ে তাদের দেশের করোনা সংক্রমণ তারা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। তারা যে নকশা করেছিল, সেটা করোনার প্রথম দিকে। এগুলোকে বলা যায় প্রথম জেনারেশনের ভ্যাকসিন। আমাদের যে নকশাটা সেটা সেকেন্ড জেনারেশন ভ্যাকসিন। কারণ আমরা এটা গত বছর মার্চ থেকে শুরু করেছি। গত বছর আমরা দেখেছি, ভাইরাসের যে মিউটেশনের কারণে মানুষ বেশি সংক্রমিত হতো, সেটা হচ্ছে ডি৬১৪জি। আমরা কিন্তু এটাকেও বিবেচনায় নিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের ইঞ্জিনিয়ারিংটা এমনভাবে করেছি যে, যেকোনো ধরনের মিউটেশন যদি হয় সেক্ষেত্রেও আমাদের ভ্যাকসিন কার্যকর ভূমিকা রাখবে। কিন্তু আমরা তো এখন পর্যন্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটাই শুরু করতে পারি নাই। যার কারণে আমরা এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবো না যে, এটি বর্তমান করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করবে কি, করবে না।’

তবে আশাবাদ ব্যক্ত করে গ্লোবের এই কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশন্সের ম্যানেজার বলেন, ‘আগের জেনারেশনের ভ্যাকসিন দিয়ে যেহেতু এটা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে, আমাদেরটা যেহেতু আরও পরের জেনারেশনের এবং আমরা কিন্তু সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার ৫৪৩টা সিকোয়েন্সকে বিশ্লেষণ করে যে অংশটা বেশি দায়ী সংক্রমণের জন্য, সেটাকে বিবেচনায় নিয়েই ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটটা নকশা করেছি। যদি আমরা ট্রায়ালটা করতে পারতাম, তাহলে আমরা বলতে পারতাম যে, এখন যে ভ্যারিয়েন্ট বলেন বা আগে যেটা ছিল, সবগুলোর বিরুদ্ধে এটা ভালো কার্যকর হবে। তবে আমরা শতভাগ আশাবাদী, এখন যে ভাইরাস বেড়ে গেছে তা আমাদের ভ্যাকসিন দিয়ে শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।’

Advertisement

এখনো অবশ্য মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পায়নি গ্লোবের উদ্ভাবিত এই টিকা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ছিলাম যে, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) খুব দ্রুততম সময়ে এথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দেবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, প্রায় তিন মাস হতে চললেও আমরা ওখান থেকে এটা এখনো পাইনি। এথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স পাবো সেরকম প্রতিশ্রুতিও আমরা পাইনি।’

পিডি/এমআরআর