দেশজুড়ে

রোগী কমেছে রমেক হাসপাতালে

করোনা পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী দ্বিতীয়বারের মতো বিধিনিষেধ ঘোষণার পর থেকে রংপুর বিভাগের অন্যতম চিকিৎসাকেন্দ্র রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে কমেছে রোগীর সংখ্যা। এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে যেখানে প্রতিদিন প্রায় দ্বিগুণের মতো রোগী ভর্তি থাকতেন, সেখানে রোগীর সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে শুধু গুরুতর অসুস্থ রোগী হাসপাতালে আসায় চাপ অনেক কমে গেছে।

Advertisement

রমেক হাসাপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মূলত বিধিনিষেধের ঘোষণা আসতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, এমন রোগীদের হাসপাতালে আসা বন্ধ হতে থাকে। বিধিনিষেধ ঘোষণার আগের দিন রোববার (৪ এপ্রিল) হাসাপাতালে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন এক হাজার ৩৭৫ জন। বিধিনিষেধের প্রথম দিন ৫ এপ্রিল (সোমবার) হাসপাতালে ভর্তি রোগী ছিলেন এক হাজার ৩০৫ জন। এবং দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রোগীর সংখ্যা নেমে আসে হাজারের কোটায়।

মঙ্গলবার হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের মডেল ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে অন্যমত হচ্ছে ৬ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে পুরুষ সার্জারি এবং বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির রোগীরা ভর্তি থাকেন। বেড সংখ্যা হচ্ছে ৫০টি। বর্তমানে রোগী আছেন ৩৬ জন। সিনিয়র স্টাফ নার্স এবং ওয়ার্ডের ইনচার্জ মুর্জিতা খাতুন বলেন, ‘গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে রোগী ছিলেন ১০৫ জন। বিধিনিষেধের কারণে রোগী কমে গেছে।’

নিউরোলজি, হেমাটোলজি, ফিজিক্যাল মেডিসিন, লিভার হেপাটোলজি, চর্ম ও যৌন রোগ, মানসিক এবং রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের রোগীদের জন্য ৭ নং ওয়ার্ড। ৩৯ বেডের বিপরীতে বর্তমানে রোগী আছেন ২১ জন। অথচ বিধিনিষেধের আগে রোগী ছিলেন ৫৭ জন।

Advertisement

বিধিনিষেধের কারণে রোগীর চাপ কমেছে বলে নিশ্চিত করেন ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. মাসরুল।

এদিকে নেফ্রোলজি (কিডনি) ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, ২৫ শয্যার ওয়ার্ডে সবসময় রোগী পূর্ণ থাকে। তাই বাধ্য হয়ে কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগী মেডিসিনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাখতে হয়। সেখানে মঙ্গলবার মাত্র একজন কিডনি রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে জানান ইন্টার্ন নার্স সাথী আরা।

রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রেজাউল হক বলেন, ‘বিধিনিষেধের কারণে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ রোগী হাসাপাতালমুখী না হওয়ায় কিছুটা চাপ কমছে। এমন অনেক রোগী আছেন যাদের চিকিৎসা আরো ১৫ থেকে ৩০ দিন পর নিলেও সমস্যা নেই- এই শ্রেণীর রোগীরা বর্তমানে হাসপাতালে কম আসছেন।

জিতু কবীর/ইএ/এমএস

Advertisement