স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারিকে মোকাবিলা করতে হবে। প্রতিরোধের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সেজন্য মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হাত ধোয়াসহ অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
Advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বুধবার (৭ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত জুম মিটিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড-১৯ জনিত সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইতোমধ্যে মহাখালীর আইসোলেশন সেন্টারকে আইসিইউসহ ৯০০ শয্যার হাসপাতাল করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা, শনাক্তকরণ পরীক্ষা, ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমসহ অন্যান্য চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম প্রদানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
Advertisement
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, এবারে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হল ‘সকলের জন্য সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি’। সবাই মিলেমিশে করোনা মুক্ত বিশ্ব, অসমতা বিহীন মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। এটাই হোক ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার। দেশে মানুষের মাঝে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়েছে। এ অবস্থায় জনগণকে অবশ্যই আরও সচেতন হতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগীদের সেবা কার্যক্রম বাড়াতে বিএসএমএমইউ প্রশাসন কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য সাধারণ ১০০টি শয্যা, ২০টি কেবিন এবং ১০টি আইসিইউ শয্যা নতুন করে সংযোজন করেছে।
সভায় অন্য বক্তারা জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডা. সাংগে ওয়াংমো।
Advertisement
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. খালেকুজ্জামান। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জুলফিকার আহমেদ আমিন, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/এসএস/জিকেএস