করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী চলাচলের ওপর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনেও চট্টগ্রাম নগরজুড়ে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতার জন্য মাস্ক বিতরণ করা হয়।
Advertisement
বুধবার (৭ এপ্রিল) জেলা প্রশাসনের সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত এসব ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩১ মামলার বিপরীতে মোট ২৭ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সঙ্গে সচেতনতার জন্য প্রায় ৫৫০০ মাস্কও বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নগরের কাজীর দেউড়ী চকবাজার এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে চার মামলার বিপরীতে ২ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়, আগ্রাবাদ এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমার নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঁচ মামলার বিপরীতে ২ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং একে খান মোড় এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানার নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এক মামলার বিপরীতে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস অক্সিজেন মোড় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাত মামলায় ৬ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
Advertisement
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক জিইসি ও মুরাদপুর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে গণপরিবহনের নানা অনিয়মে ছয় চালককে ৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন কর্ণফুলী ব্রিজ ও বহদ্দারহাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ছয় মামলায় ২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে আজও (বুধবার) নগরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি সচেতনতার জন্য মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
মিজানুর রহমান/এমএইচআর/এমএস
Advertisement