করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ও সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের মেস ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত অব্যাহত থাকবে।
Advertisement
বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে বগুড়ার সেউজগাড়ি, জামিলনগর, সবুজবাগ, জহুরুলনগর, পুরান বগুড়া, কামারগাড়িসহ অন্যান্য এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের মেস ছাড়া জন্য পুলিশ সদস্যরা নির্দেশ দিয়ে আসছেন। ৮ এপ্রিলে সকালের মধ্যে বাসা ছেড়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন তারা। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মেসে থাকা আতিকুর রহমান আতিক জানান, ৮ এপ্রিল সকালের মধ্যে মেস ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সুপ্রিয়া সরকার নামে একজন শিক্ষার্থী জানান, মেস ছাড়ার নির্দেশনা পেয়েছি। তবে পরিবহন বন্ধ থাকায় গ্রামের বাসায় যাওয়া নিয়ে বিপদে পড়েছি।
Advertisement
এদিকে সিরাজ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার্থীদের মেস ছাড়ার কথা বলে হয়েছে। কিন্তু বাসায় থাকলেও মেস ভাড়া আমাদের দিতে হয়। তাই মালিকদের মেস বন্ধের নির্দেশনা দিলে আমাদের আর ভাড়া দিতে হতো না।
মেস বন্ধের নির্দেশনার ব্যাপারে জেলা পুলিশের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনার সংক্রমণও বৃদ্ধি পেয়েছে। ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মূলত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই শিক্ষার্থীদের দ্রুত মেস ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মোতাবেকই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এসজে/এমএস
Advertisement