একুশে বইমেলা

গণপরিবহন চালু হওয়ায় দর্শনার্থী বেড়েছে বইমেলায়

গণপরিবহন চালু হওয়ায় বইমেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এতে নিস্তব্ধ বইমেলা আজ কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। স্টল, প্যাভিলিয়নে দেখা গেছে দর্শনার্থীর আনাগোনা। ব্যস্ততা দেখা গেছে বিক্রয়কর্মীদের মাঝেও। বইপ্রেমীরা স্টল প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে পছন্দের বই কিনছেন।

Advertisement

তবে ক্রেতাদের আনাগোনায় প্রকাশকদের মাঝে একটু স্বস্তি দেখা গেলেও, প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা না থাকায় অধিকাংশ হতাশা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া তীব্র গরমে অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। বইমেলা বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত করার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

ইউনিভার্সাল প্রকাশনীর এক বিক্রয় কর্মী জনান, দুপুর সাড়ে ১২টায় মেলা শুরু হলেও পাঠকরা আসেন ৩টা থেকে থেকে ৫টার মধ্যে। এ অবস্থায় আমরা প্রচন্ড গরমের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমাদের কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে।

অনুপ্রাণন প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী ইফফাত আরা বলেন, গত দুই দিনের চেয়ে আজ স্টলে কিছু পাঠক এসেছে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী অনেক কম। দর্শনার্থীরা আশা শুরু করেন বিকেল ৫টার দিকে, কিন্তু মেলা তখন বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া লকডাউনের মাঝে আমাদের অনেক কষ্ট করে প্রকাশনীতে আসতে হয়। মেলা ১২টায় শুরু হওয়ায় দুপুরের তীব্র রোদে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়। বিকেল থেকে মেলা শুরু হলে আমাদের কষ্ট হতো না।

Advertisement

দ্য ইউনিভার্সাল পাবলিশিং একাডেমির প্রকাশক ও সৃজনশীল সাহিত্য উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি শিহাব উদ্দিন ভূইয়া বলেন, এবারের বইমেলা প্রকাশকদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের। আমরা কোনোমতে প্যাভিলিয়ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। মেলাশেষে আমাদের ব্যয় উঠবে কি না সন্দেহ। তার মাঝে গত দুই দিন লকডাউন থাকায় বেচাকেনা হয়নি। তবে আজ গণপরিবহন চালু থাকায় কিছুটা বেচাকেনা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মেলার এখন যে সময় এটা পাঠক ও প্রকাশকদের অনুকূলে না। এই সময় মানুষ এত গরমের মধ্যে দিয়ে আসতে চায় না। মেলা যদি আগের মতো ৩টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে করা হয়, তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়, পাঠকদের জন্যও আমি মনে করি সুবিধা হবে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত হলে ওই সময় ক্রেতারা ভিড় জমান, তখন আমাদেরও কিছু বেচাকেনা হয়।

রায়হান আহমেদ/এমএসএইচ/এএসএম

Advertisement