লাইফস্টাইল

জেনে নিন করোনাভাইরাসের নতুন ৩ লক্ষণ

বিগত এক বছর ধরে করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ধাপ। গত বছরের মতো আবারও নতুন করে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে।

Advertisement

জ্বর-সর্দি-কাশি ছাড়াও করোনার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক লক্ষণ আছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও কয়েকটি লক্ষণ। সাধারণ হলেও এগুলো করোনার প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কয়েকটি গবেষণার ভিত্তিতে জানা গেছে, করোনার উপসর্গ হিসেবে গন্ধ না পাওয়ার পাশাপাশি শ্রবণশক্তি হ্রাস, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং গ্যাস্ট্রিকের মাত্রারিক্ত সমস্যাগুলো সাধারণভাবে নেওয়া একেবারেই উচিত নয়। সাধারণ কিছু সমস্যা হতে পারে করোনা সংক্রমণের নতুন লক্ষণ।

লালচে বা গোলাপি চোখ: চীনের সমীক্ষায় দেখা গেছে, গোলাপি চোখ বা কনজেক্টিভাইটিস আইস কোভিড-১৯ সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। এর ফলে চোখ লাল হয়ে ফুলে যাওয়াসহ পানিও পড়তে পারে।

Advertisement

সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপে নতুনভাবে সংক্রমিত হয়েছেন; তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের চোখে লালচে ভাব লক্ষ্য করা গেছে। চোখ লাল হয়ে ফুলে গেছে এমন ১২ জনের নাকের সোয়াব পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তাদের ১১ জনই কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত।

কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চোখ দিয়েও করোনাভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। যাদের শরীরে এ ভাইরাস চোখ দিয়ে প্রবেশ করে; তাদের চোখে এমন লালচে ভাব হতে পারে। এরপরই ভাইরাসটি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়।

বিজ্ঞানীদের মতে, করোনাভাইরাস চোখের মধ্যে থাকা অকুলার মিউকাস মেমব্রেনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। তবে এক্ষেত্রে ভাইরাসটি দৃষ্টিশক্তির ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারে কি-না সে বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে: হঠাৎ করে কানে না শোনার সমস্যাকেও এ সময় হেলাফেলায় নেওয়া যাবে না- এমনটিই মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ হঠাৎ শ্রবণশক্তি কমে যাওয়াও হতে পারে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ।

Advertisement

গত সপ্তাহে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব অডিওলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে শ্রবণশক্তি কমতে পারে। কানের মধ্যে বিরক্তিকর শোঁ শোঁ শব্দ হতে পারে এক্ষেত্রে।

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত অনেকের ওপর পরীক্ষা করে এমন তথ্য মিলেছে। সমীক্ষা অনুসারে, করোনায় আক্রান্ত ৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষের মধ্যে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার নমুনা পাওয়া গেছে।

গ্যাস্টিকের সমস্যা: সাধারণত সবারই কমবেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে। বিশেষ করে যারা জাঙ্কফুড বেশি খেয়ে থাকেন। তবে এ সমস্যাকে এখন সাধারণ না ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ করোনার উপসর্গ হতে পারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।

গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়রিয়া এবং বমি করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। করোনায় আক্রান্ত অনেকের শরীরেই লক্ষণটি প্রকাশ পেয়েছে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে, করোনাভাইরাস শ্বসনতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। ফলে কিডনি, যকৃত এবং অন্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গেও প্রভাব ফেলে এ ভাইরাস।

এজন্য করোনায় আক্রান্ত হলে বমিভাব বা বমি হওয়া, হজমে সমস্যা এবং ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এজন্য এসব সমস্যা সাধারণভাবে নেওয়া উচিত নয়। দীর্ঘমেয়াদী এসব সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

জেএমএস/এসইউ/এমএস