দেশজুড়ে

চতুর্থ দফায় আজ ভারত যাচ্ছেন ১০৫ জন

চিলাহাটি-হলদিবাড়ী সীমান্ত দিয়ে চতুর্থ দফায় বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ছিটমহলের ২১টি পরিবারের ১০৫ জন সদস্য ভারত যাওয়ার জন্য সকালে রওনা দিয়েছেন। এরমধ্যে ১ নম্বর দহলা খাগড়াবাড়ীর ১৬টি পরিবারের ৮৮ জন ও ৩৮ নম্বর দইখাতা বিলুপ্ত ছিটমহলের পাঁচটি পরিবারের ১৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৯ জন, নারী ৩০ জন ও শিশু রয়েছে ৩৬ জন। জন্মস্থান বাংলাদেশকে বিদেশ করে গত মঙ্গলবার ৩য় দফায় নতুন দেশ ভারতে চলে গেলেন ৩০টি পরিবারের ১৫২ জন। প্রথম দফায় গত রোববার ১৪টি পরিবারের ৪৮ জন ও ২য় দফায় গত সোমবার দুপুরে চিলাহাটি হলদিবাড়ী সীমান্ত দিয় ভারত গমন করতে পঞ্চগড় জেলা দেবীগঞ্জ উপজেলার দুটি বিলুপ্ত ছিটমহলের ২৮টি পরিবারের ১৪৭ জন। গত তৃতীয় দফায় এ সীমান্ত দিয়ে ভারত গমন করেছেন ৭২টি পরিবারের ৩৪৭ জন। ৪র্থ দফায় বৃহস্পতিবার ভারত যাচ্ছেন ২১টি পরিবারের ১০৫ জন।সকালে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে পুলিশ ও বিজিবি পাহারায় তাদেরকে চিলাহাটি নিয়ে আসা হচ্ছে। তিনটি বাসে ভারত গমনকারী সদস্যরা ও পাঁচটি ট্রাকে রয়েছে পরিবারগুলোর মালামাল। শেষ বিদায় ক্ষণে আত্মীয়-স্বজন এবং বিদায়ী ভারতীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নীলফামারীর ডোমার উপজেলা ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের আব্দুর রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিলুপ্ত ছিটমহলের ভারত গমনকারীদের ইমিগ্রেশন কাজ সম্পন্ন করা হবে। সেখানে দুইটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ইমিগ্রশন কাজ সম্পন্ন করা শেষে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের কাছে ১০৫ জনকে হস্তান্তর করা হবে।   পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জাগো নিউজক বলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার ১নং দহলা খাগড়াবাড়ী বিলুপ্ত ছিটমহলের ১৭টি পরিবারের ৮৯ জন যাওয়ার কথা থাকলেও একটি পরিবারের একজন সদস্য জমি বিক্রি করতে না পারায় আগামী ৩০ নভেম্বর ভারত যাবেন।  অপরদিকে, বোদা উপজেলার ৩৮ নম্বর দইখাতা বিলুপ্ত ছিটমহলের ছয়টি পরিবারের ১৮ জন ভারত যাওয়ার কথা থাকলেও একটি পরিবারের একজন সদস্য ভারত যাবেন না মর্মে নিশ্চিত করেছেন । তিনি আরও বলেন চার দফায় ভারত গমন করছেন ৯৩টি পরিবারের ৪৫২ জন। চার দফায় ৯৮টি পরিবারের ৪৮৭ জন ভারত যাওয়ার কথা থাকলে নবাগত চার শিশুসহ জনসংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯১ জনে। কিন্তু পাঁচজন সদস্য ও একটি পরিবার ভারত যেতে আপত্তি করায় আগামী ৩০ নভেম্বর ভারত যাবে চারটি পরিবারের ৩৪ জন সদস্য।চিলাহাটি অস্থায়ী ক্যাম্পে ইমিগ্রেশন শেষে দুপুর ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিলুপ্ত ছিটমহলের ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণকারীদের হস্তান্তর করা হবে। এসময় বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্তা, নীলফামারীর সহকারী কাস্টমস কমিশনার হুমায়ুন হাফিজ, ডোমার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস রাজ্জাক বসুনিয়া, ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা, দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, বিজিবির ৫৬ ব্যাটলিয়ানের লে. কর্নেল গোলাম সারওয়ার, ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন, চিলাহাটি তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনছুর আলীসহ সরকারি দফতরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন মর্মে প্রশাসন থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে নবাগত ভারতীয়দের বরণ করবেন কুচবিহারের এডিএম আয়শা রানী ও এডিএম রঞ্জন ঝাঁ।জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/আরআইপি

Advertisement