করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সারাদেশে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে সরকারের বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালু করা হয়েছে।
Advertisement
অথচ মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন বা রাইড শেয়ারিং চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। রাইড শেয়ারিং চালুর দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে বিক্ষোভ করেছেন যাত্রী পরিবহনকারী মোটরসাইকেল চালকরা।
বুধবার (৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর মোড়ে দেখা গেছে, ৩০ থেকে ৪০টি মোটরসাইকেল আগারগাঁওয়ের দিক থেকে মিরপুর ১০ নম্বর মোড়ে এসে থামে। তারা রাইড শেয়ারিং চালুর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে চালকরা। পরে তারা মিরপুর-১৪ নম্বরের দিকে রওনা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসেইকেলগুলো যাওয়ার সময় টানা হর্ন বাজিয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে রাইড শেয়ারিং চালুর দাবি জানাচ্ছে। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে তারা মোটরসাইকেলযোগে বিক্ষোভ করছেন।
Advertisement
চালকরা বলছেন, লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন চালু করা হয়েছে। অথচ রাইড শেয়ারিং বন্ধ রাখা হচ্ছে। চালকরা রাস্তায় নামলেই অহেতুক হয়রানি ও মামলা দেয়া হচ্ছে। অথচ গণপরিবহন চলছে, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাটও অনেক খোলা রয়েছে।
এদিকে গণপরিবহন চললেও সিএনজিতে দু’জনের বেশি যাত্রী নয় এবং ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে একজন চলাচল করতে পারবে। তবে রাইড শেয়ারিং পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমন কড়াকড়ির কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোনো মোটরসাইকেল যদি রাইড শেয়ারিং করে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
পিডি/এএএইচ/এএসএম
Advertisement