জাতীয়

ভাড়া বেশি রাখলেও বাসে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার

লকডাউনের তৃতীয় দিন বুধবার থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। এসব যান অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখেই যাত্রী পরিবহন করছে। ভাড়াও নেয়া হচ্ছে ৬০ শতাংশ বেশি। তবে কোনো বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেখা যায়নি। ফলে প্রত্যেক যাত্রী হাতল ব্যবহার এবং আসন ধরে বাসে ওঠানামা করছেন। এতে খুব সহজেই ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

যাত্রীদের অভিযোগ, বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে না। ফলে একই হাতল এবং আসন ধরে প্রত্যেক যাত্রীকে ওঠানামা করতে হচ্ছে। এভাবে একজনের হাতের জীবাণু খুব সহজেই অন্যের হাতে চলে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে চালক এবং চালকের সহকারীরা জানান, গত বছর করোনার সময় যাত্রীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছিল বাসের মালিকেরা। কিন্তু এবার যাত্রীদের সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়নি। এ নিয়ে যাত্রীদের অনেকেই আপত্তি তুলেছেন। বিষয়টি বাস মালিককে জানাব।

এদিকে সকালে দেখা যায়, স্কাইলাইন পরিবহনে একটি বাস মহাখালী জনস্বাস্থ্য ইনিস্টিউটের সামনে থামলে সেখানে দুইজন যাত্রী নামেন। এ সময় ওই জায়গা থেকে আরও দুইজন যাত্রী বাসে উঠেন। এই চারজন যাত্রীই বাসের ফটকের হাতল ধরে ওঠানামা করেন। কিন্তু তাদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হয়নি।

Advertisement

বাসের যাত্রী রুবেল হোসেন বলেন, সাধারণত বাসগুলো চলন্ত অবস্থায় যাত্রী ওঠানামা করে। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকা সত্যেও যাত্রীরা হাতল বা আসন ধরে ধরে ওঠানামা করতে বাধ্য হয়। কিন্তু চালক ও চালকের সহকারীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয় না। অথচ আগের তুলনায় ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি রাখছেন তারা।

এ সময় পরিবহনের চালক মাসুদের দাবি, তারা বাস থামিয়েই যাত্রী ওঠানামা করেন। কাল থেকে বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজারেরও ব্যবস্থা করবেন।

রাজধানীর তেজগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ এলাকায় একইভাবে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।

জানতে চাইলে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, প্রতিটি বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকার কথা। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

Advertisement

এমএমএ/জেডএইচ/জেআইএম