জাতীয়

পার্সেল ডেলিভারি চালু করার দাবি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির

লকডাউনে সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে শুধু পার্সেল ডেলিভারি চালু রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

Advertisement

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সমিতিটির মহাসচিব ইমরান হাসান ও অফিস সচিব আক্তারুজ্জামানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

বলা হয়েছে, ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা ৫ থেকে ১১ এপ্রিল মেয়াদে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের জন্যে ‘ঙ’ ক্রমিকে যে নির্দেশনাটি রয়েছে তা হলো খাবারের দোকান তথা হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (Takeaway/Online) করা যাবে।

কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না। এ সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে সকাল থেকে রাত অবধি, দিনব্যাপী আমাদের হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে পার্সেল এবং ডেলিভারির সময়সীমা উল্লেখ না থাকায় একেক জেলায় বা বিভাগীয় শহরে প্রশাসনিক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একেক ধরনের ব্যাখ্যা করছেন।

Advertisement

এ পরিস্থিতিতে অনুরোধ করছি, সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আপাতত আমাদের হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে আমরা যেন নিরবিচ্ছিন্নভাবে শুধুমাত্র পার্সেল ডেলিভারি করতে পারি।

১১ এপ্রিলের পরেও লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলে হোটেল-রেস্তোরাঁয় শুধু পার্সেল বা অনলাইনের বিক্রয়ের পরিবর্তে ২৯ মার্চ আদেশের অনুরূপ ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক ক্রেতা/ভোক্তাকে স্বাভাবিক সময় পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসিয়ে খাওয়ানোর সুযোগ প্রদানের অনুরোধ জানাচ্ছি।

তারা আরও দাবি জানিয়ে বলছে, অনলাইন ডেলিভারির সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ন্যায় সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ করতে হবে, অন্যথায় অনলাইন ডেলিভারির জন্য রেস্তোরাঁর ব্যবসা ৫০ শতাংশ ক্যাপাসিটিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করতে চাই।

পরপর দুই বছর হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ। প্রণোদনা ছাড়া বাঁচা যাবে না, আমাদেরকে বাঁচতে দিন। সহজশর্তে বিনা জামানতে এসএমই খাতে আমাদের লোনের ব্যবস্থা করুন। ঢাকা শহরসহ সারাদেশে ৯৮ শতাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের স্থাপনা ভাড়া নিয়ে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন, সেহেতু স্থাপনার মালিক/জমিদার/বাড়িওয়ালাদেরকে ভাড়া গ্রহণের বিষয়ে ভাড়া মওকুফ, সহনীয় আচরণ ও সময় প্রদানের বিষয়ে সরকারি/প্রশাসনের নির্দেশনা প্রয়োজন।

Advertisement

আসন্ন রমজানে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতার ও সেহেরি বিক্রয় করতে চাই, এ সময়ে সরকারি এজেন্সিগুলো থেকে বিমাতা সূলভ আচরণের পরিবর্তে ব্যবসা বান্ধব আচরণ চাই।

লকডাউরের সময়ে আর্থিক চাপে আমরা হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা স্যান্ডউইচ হয়ে পড়েছি। হোটেল-রেস্তোরাঁ সেক্টরকে অন্তত দুই বছর সময় দিয়ে উপরের সুবিধাগুলো দেয়া না হলে আক্ষরিক অর্থেই আমরা পথে বসবো বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

পিডি/এমআরএম