রাজধানীর গুলশান ১১৩ নম্বর রোডের হিল্টন থাই স্পাতে অসামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদ মিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তাদেরকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মূলত লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন আবদুল হামিদ মিয়া। এর আগে তিনি গুলশানের ৩১৫টি দোকান, পার্লার, সবজি দোকান ইত্যাদি পরিদর্শন করেন। এ সময় লাইসেন্সবিহীন এবং ফুটপাতের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করা, মাস্ক না পরায় ৮ জনকে ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে মিরপুর-১০ অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে দারুসসালাম এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘোরাঘুরির অপরাধে ১০ জনকে মোট ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
Advertisement
হরিরামপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপদ রোড এবং ময়লার মোড় এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে যথাযথভাবে মাস্ক না পরার কারণে ১০টি মামলায় মোট ১ হাজার ২৯০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ১টি হোটেলের ভেতরে লোকজনকে বসিয়ে খাবার পরিবেশনের অপরাধে হোটেল মালিককে ৫ হাজার জরিমানা করা হয়। এ সময় ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ৯০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়।
অঞ্চল ১০ এর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানার নেতৃত্বে। মাস্ক না থাকায়, সরকারের জারিকৃত আদেশ অমান্য করায় এবং ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় ২টি মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া বাজার মনিটরিং করে, বাজার কমিটির সাথে কথা বলে সকল স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য এবং বাজার মূল্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
উত্তরখান অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভাটারা অঞ্চলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় মোট ৮টি মামলায় ৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং জনগণকে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা প্রতিপালনে সচেতন করা হয়।
Advertisement
এমএমএ/এমএসএইচ/এএসএম