‘সরকার লকডাউন দিল, খাবার তো দিল না’ —এমন মন্তব্য আদরি বেগম (৪৫) নামের এক ভিক্ষুকের। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজশাহী নগরীর শহীদ কামরুজ্জামান চত্বরে ভিক্ষা করার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
Advertisement
তাকে প্রশ্ন করা হয়, লকডাউনে করোনায় রাস্তায় নেমেছেন কেন? উত্তরে তিনি উল্টো প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন, রাস্তায় না নামলে মা-মেয়ের পেটের খাবার জোগাবে কে?
একসময় সুখের সংসার ছিল আদরি বেগমের। কিন্তু ভাগ্য তার সহায় হয়নি। অকালে স্বামী আবদুল হান্নানকে হারিয়ে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে পথে নামেন। সেই থেকে তার জীবনযুদ্ধ শুরু।
দিনে দিনে শরীরে বাসা বাঁধে জটিল-কঠিন রোগ। হারিয়ে ফেলেন ডান পা। কর্মক্ষমতা হারিয়ে তার সঙ্গী হয়ে যায় হুইলচেয়ার। পেটের খাবার জোগাতে বাধ্য হয়ে নামতে হয় ভিক্ষাবৃত্তিতে।
Advertisement
সোমবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর রেলগেট এলাকায় পাওয়া যায় তাকে। তিনি জানান, এক হাজার টাকায় নগরীর শাহমখদুম থানার মোড় এলাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে বাস করেন মা ও মেয়ে। দিনে তার আয় অন্তত ২০০ টাকা। লকডাউনের প্রথম দিনে রাস্তায় লোকজন কম। আজ কপালে জোটেনি অর্ধশত টাকাও। ৪০ টাকার মতো বের করে দেখান প্রতিবেদককে।
কিছু মানুষ ঘর থেকে বেরিয়েছের নেহাতই পেটের তাগিদে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা মেলে এমনসব মানুষের। তাদের সবার মুখে একই প্রশ্ন, ঘর থেকে না বেরুলে জীবন চলবে কীভাবে?
ফয়সাল আহমেদ/এসআর/জেআইএম
Advertisement