জাতীয়

‘জোর করে মানুষকে ঘরে না ঢুকিয়ে বলে-কয়ে চেষ্টা করছি’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সরকার ঘোষিত কঠোর নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

Advertisement

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘জনগণকে জোর করে ঘরে না ঢুকিয়ে বলে-কয়ে সচেতন করে ঘরে রাখার চেষ্টা করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।’

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের একটি কোর কমিটি রয়েছে। আজ সেই কোর কমিটির জরুরি বৈঠক হয়েছে। অনেকগুলো বিষয় জমা ছিল, সেসব বিষয় নিয়েই বৈঠক হয়েছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ সেকেন্ড ওয়েভ আসাতে হাজার হাজার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। সরকার বাধ্য হয়েই এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য সাতদিনের লকডাউন কিংবা নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। অনেকে মানছেন, আবার অনেকেই মানছেন না। করোনা ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং এর ব্যাপকতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। হাসপাতালে কোনো সিট নেই, এমনকি অক্সিজেন যারা সরবরাহ করছে, তারাও অক্সিজেন দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা সবাইকে আহ্বান করব- এই মহামারিতে সবাই যেন সহযোগিতা করেন এবং এগিয়ে আসেন, সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেয় সেটা পালন করুন।’

Advertisement

মানুষ লকডাউন মানছেন না, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীও ঢিলেঢালাভাবে চলছে এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মানুষের সচেতন হতে হবে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী আছে, তারাও ব্যবস্থা নেবে। তারাও বলছে, কাউকে জোর করে ঘরের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়ার চেয়ে আমরা যদি বলে-কয়ে ঘরে রাখতে পারি। আসলে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা যা যা করার করছি। আমরা আহ্বান করছি- মানুষ যেন অল্প কয়েকটা দিন কষ্ট হলেও যেন নির্দেশনাটা মেনে চলেন। তাহলে হয়তো আগের বারের মতো এবারও করোনায় আমরা ক্ষতি কমাতে পারব।

গণপরিবহন চালু করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকটা দিন তো অপেক্ষা করতে হবে, ৫-৭ দিনই তো। গণপরিবহন, সভা সমিতির মাধ্যমেই তো করোনা বেশি ছড়াচ্ছে। অফিস খোলা থাকলেও এটা বলা হয়েছে, গণপরিবহনের মাধ্যমে না এসে যার যার ব্যবস্থা সে সে করবে। অফিসের যিনি তত্ত্বাবধান করেন তিনিই পরিবহনের ব্যবস্থা করবেন। প্রথমদিনই এটা বলেই দেয়া হয়েছে।’

আইএইচআর/এএএইচ/এমএস

Advertisement