দেশজুড়ে

বরিশালে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের বিক্ষোভ

সরকারের ঘোষিত লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ করেছেন দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।

Advertisement

মঙ্গলবার (৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর চকবাজার সড়ক অবরোধ করে চকবাজার, মহসিন মার্কেট, সিটি মার্কেট, ও গীর্জা মহল্লার মোবাইল এবং গার্মেন্টস দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা এই বিক্ষোভ করেন।

এ সময় তারা মিছিল বের করেন। পরে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। তারা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গৌতম বাড়ৈর কাছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট সময়ে দোকান খুলে দেয়ার দাবি জানান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার আশ্বাস দেন এবং বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

নগরীর চকবাজার ও গীর্জা মহল্লা এলাকার কয়েকজন দোকান মালিক ও কর্মচারী জানান, গত ঈদেও করোনার কারণে মার্কেট, বিপণিবিতান ও দোকান বন্ধ রাখায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা। সামনেই রমজান মাস, এরপরে আসবে ঈদ। ব্যবসার ভরা মৌসুম এখন। রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার মালামাল তুলেছেন। কিন্তু লকডাউনে মার্কেট বন্ধ রাখায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

Advertisement

তারা আরও জানান, সরকার বিধিনিষেধ দিলেও অফিস-আদালত, শিল্পকারখানা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই খোলা রেখেছে। মার্কেট, শপিংমল, বড় বড় বিপণিবিতান ও যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকা ছাড়া আর কোথাও লকডাউনের কার্যকারিতা দেখা যায়নি। তাই ঈদ উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করে নির্দিষ্ট সময়ে দোকান খুলে দেয়ার দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেছেন।

চকবাজার-কাঠপট্টি-লাইনরোড-পদ্মাবতি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহিম বলেন, ‘করোনা শুরুর পর থেকেই ব্যবসায় মন্দা চলছে। তাই এই ঈদে কেনাবেচা করতে না পারলে দোকান মালিক-কর্মচারীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সরকারি অন্য দফতরের ন্যায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট সময়ে মার্কেটগুলো খোলা রাখার দাবি জানাচ্ছি।’

তবে বরিশাল মহানগর দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন দত্ত বলেন, ‘ক্ষুদ্র, খুচরা ও পাইকারি দোকানদারদের আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন। তবে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। দোকানপাট খোলা থাকলে মানুষের সমাগম বাড়তো। ভিড় বাড়লে দোকান কর্মচারীদের সুরক্ষা মানা সম্ভব হতো না। কাজেই সংক্রমণ বিস্তার হতো, এটা আমরা ধরেই নিতে পারি।’

সাইফ আমীন/এসজে/এএসএম

Advertisement