সরকার লকডাউনের ঘোষণা দেয়ার পরপরই রাজধানীতে কার্যরত ব্যাংকের শাখাগুলো স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। প্রতিটি শাখায় শারীরিক দূরত্ব বজায়ের পাশাপাশি রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা। কোনো কোনো শাখায় একত্রে দুই জনের বেশি গ্রাহককে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।
Advertisement
ব্যাংকগুলো একই ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে এটিএম বুথগুলোতেও। সেখানে এটিএম-এর বাটনে কিছুক্ষণ পরপরই জীবাণুনাশক তরল স্প্রে করা হচ্ছে, মেঝেতেও ছেটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক। এটিএম বুথ ব্যবহারের পরেও গ্রাহকের হাতে দেয়া হচ্ছে স্যানিটাইজার। বুথের মূল দরজায় থাকা লোহার হাতলেও দেয়া হচ্ছে জীবাণুনাশক।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
লকডাউনের কারণে ব্যাংকের শাখাগুলোতে এখন বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লেনদেন করা হচ্ছে। তবে গ্রাহকরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যাংকের শাখা থেকে এটিএম বুথকেই এখন প্রাধান্য দিচ্ছেন। নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য এখন ভিড় জমছে এটিম বুথে। সেখানে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সার্বিক ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এটিএম বুথে আসা গ্রাহকরা।
Advertisement
মো. সোলাইমান নামে ফকিরাপুলের এক ব্যক্তি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখন ব্যাংকে যেতে ভয় লাগছে। কখন, কে আক্রান্ত হয় বলা মুশকিল। তাই এটিএম বুথে এসেছি, এখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে হাতে, তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে, আবার ইচ্ছামতো টাকাও তুলতে পারছি। বুথগুলোর সার্বিক ব্যবস্থা দেখে বেশ ভালো লাগছে, অনেকটা নিরাপদও লাগছে এখানে।’
শুধু লকডাউনের সময়ই না, মহামারি কোভিড-১৯ আসার পর থেকেই বুথগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজাররের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
এ বিষয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এডিসি (সিনিয়র এক্সিকিউটিভ) মামুন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের এখানে ফ্লোরগুলো জীবাণুনাশক ছেটানো হচ্ছে। প্রত্যেক গ্রাহকের হাত স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে যাতে সবাই নিরাপদে টাকা উত্তোলন করতে পারে।’
একই কথা জানান এডিসি (এক্সিকিউটিভ) অনুপম দত্ত। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক আমাদের সব শাখায় স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দিতে থার্মাল, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেছে। আমরা চেষ্টা করছি সবার ক্ষেত্রে এটার ব্যবহার নিশ্চিত করতে। ফাস্ট ট্র্যাকে টাকা জমা দেয়ার ক্ষেত্রেও আমরা এগুলো লক্ষ্য রাখছি। সবাই সুস্থ থাকুন এটাই কাম্য।’
Advertisement
ইএআর/এসএস/জিকেএস