দেশজুড়ে

শিমুলিয়াঘাটে আটকে আছে ৫০০ ট্রাক

লকডাউনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি-লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি সেবার জন্য দু’টি ফেরি চালু রয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া কর্তৃপক্ষ।

এদিকে পণ্যবাহী ট্রাক পারপারে ফেরি না থাকায় ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে ৫০০ ট্রাক। দীর্ঘসময় ঘাটে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে এসব ট্রাকের চালক ও সহকারীরা। শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে নিদিষ্ট সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।

মাধারীপুরগামী একটি পণ্যবাহী ট্রাকের চালক মো. রবেল বলেন, লকডাউন আমরাও মানি। কিন্ত অন্তত একটি ফেরি দিয়ে শুধু মাত্র ট্রাকগুলো পারাপারের ব্যবস্থা করে দিলে ভোগান্তিতে পড়তাম না।

Advertisement

আরেক ট্রাকচালক বলেন, রাতের বেলা পার করবে বলা হয়েছে। কিন্তু দিনের বেলা পার করে দিলে আমরা তাড়াতাড়ি মালগুলো পৌঁছাতে পারতাম। ঘাটে অনেকক্ষণ থাকলে সব মিলিয়ে খরচ অনেক বেড়ে যায়।

ট্রাকচালক গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ট্রিপ শেষ না করলে টাকা পাবো না। বেড়াতে তো যাচ্ছি না। পেটের খাবারের জন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটে ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন, ঘাটে যেসব ট্রাক আছে সেগুলোকে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে পার করা হবে। লকডাউনে দিনে শুধু এপার থেকে একটি ও ওপার থেকে একটি ফেরি চলাচল করবে। এসব ফেরি দিয়ে রোগী ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোর ৬টায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করা হয়। তবে এদিন ১৭টি ফেরির মধ্যে চারটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পার করা হয়।

Advertisement

মঙ্গলবার আরো দু’টি ফেরি কমিয়ে জরুরি সেবার জন্য দু’টি ফেরি চালু রাখা হয়েছে।

এসএমএম/এমকেএইচ