প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সঙ্গে কথা বলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল দহগ্রামে গ্রামীণফোনের থ্রিজি নেটওয়ার্ক উদ্বোধন করেন। গ্রামীণফোনের সিইও রাজিব শেঠি, সিএমও ইয়াসির আজমান এসময় গণভবনে এবং চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার, মাহমুদ হোসেন একই সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দহগ্রামে ছিলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানান।প্রতিমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়াম্যান মো. মোতাহার হোসেন দহগ্রামে গ্রামীণফোনের থ্রিজি উদ্বোধনের জন্য উপস্থিত ছিলেন। গ্রামীণফোনের থ্রিজি নেটওয়ার্ক দহগ্রাম হাইস্কুল প্রাঙ্গনে এলাকার অধিবাসী এবং স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হয়।দেশব্যাপী গ্রামীণফোনের শক্তিশালী থ্রিজি নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের বিগত ছিটমহলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠানটির সেবা পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রথম উদ্যোগ দহগ্রামকে সাইবার দুনিয়ার সাথে যুক্ত করলো। এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এটাই প্রথম থ্রিজি স্থাপনা।গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটের পক্ষে অবকাঠামোর স্বল্পতাকে অতিক্রম করে দ্রুততার সাথে উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। থ্রিজি প্রযুক্তির মাধ্যমে দহগ্রামের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হতে পারবেন। দেশের বৃহত্তম টুজি এবং থ্রিজি নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোন তাদের মানসম্পন্ন সেবা দিতে পেরে আনন্দিত।সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থলসীমা চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে দহগ্রামের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫০ হাজার মানুষের দুর্দশার অবসান হয়। থ্রিজি উদ্বোধনের পাশাপাশি গ্রামীণফোন তার কর্পোরটে দায়িত্বের অংশ হিসেবে দহগ্রাম হাইস্কুলে ইন্টারনেট সংযোগসহ কয়েকটি কম্পিউটর উপহার দেয়।গ্রামীণফোন জানায়, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ পৌঁছে দিতে আগ্রহী। এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোন দেশের সব মানুষকে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করতে, সম্ভাব্য ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইন্টারনেটের সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ডিজিটাল সেবা ব্যবহারে সুযোগ সৃষ্টি করতে চায়। দহগ্রামে থ্রিজি সেবা চালু করার মাধ্যমে কোম্পানির ‘ইন্টারনেট ফর অল’ লক্ষ্য আরেকধাপ এগিয়ে গেল। গ্রামীণফোন ইতোমধ্যেই ৫৬০০ থ্রিজি বিটিএস স্থাপন করেছে, যার ফলে দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ ভাগ থ্রিজির আওতায় চলে এসেছে।আরএম/এসএইচএস/পিআর
Advertisement