ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বসবাসের ঘরসহ বেশ কিছু স্থাপনায় আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার এক রোহিঙ্গা নেতা তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
সালামত উল্লাহ নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে জম্মুর মারাঠা মহল্লা এলাকায় এ আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে একটি মসজিদ ও একটি স্কুলসহ অন্তত দুই ডজন ঘর পুড়ে গেছে। এর ফলে আবারও খোলা আকাশের নিচে এসে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১৮টি রোহিঙ্গা পরিবার। জম্মুর পুলিশ প্রধান চন্দন কোহলি জানান, একটি ময়লার ভাঁগাড়ে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং দ্রুতই তা আশপাশের ঘরবাড়ি-দোকানপাটে ছড়িয়ে পড়ে।
২০১৭ সালে ব্যাপক খুন, ধর্ষণ, গণহত্যার মতো ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় অন্তত সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম। তাদের কিছু অংশ গেছে জম্মু-কাশ্মীরেও।
ভারতের রোহিঙ্গা-আশ্রিত এলাকাটিতে এর আগেও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সেখানকার নারবাল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের পাঁচটি ঘর পুড়ে যায়।
Advertisement
আর সোমবার যেখানে আগুন লেগেছে, ২০১৯ সালের জুনে সেই একই জায়গায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল। এতে অন্তত ২০০টি ঘর পুড়ে যায়, যার মধ্যে ৪১টি ছিল রোহিঙ্গাদের।
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের হুমকি বিবেচনা করে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। গত মাসেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রায় ১৫০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে ভারতীয় পুলিশ। তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ হানিফের দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে জম্মুর ৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গা রয়েছেন। সাম্প্রতিক ধরপাকড়ের ঘটনায় তারা সবাই দুশ্চিন্তার মধ্যে সময় পার করছেন। কেএএ/এমএস
Advertisement