করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সারাদেশে সাতদিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার জন্য খোলা থাকছে সুপারশপ ‘স্বপ্ন’।
Advertisement
লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ‘স্বপ্ন’র আউটলেটগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেনাকাটার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এসব আউটলেটের পাশাপাশি ‘স্বপ্ন’র ওয়েবসাইটের shwapno.com মাধ্যমেও পণ্য অর্ডার করতে পারবেন ক্রেতারা। বাসায় থাকছে হোম ডেলিভারি সেবা।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘স্বপ্ন’ জানায়, গ্রাহকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সবসময় গুরুত্ব দেয় ‘স্বপ্ন’। তাই আউটলেটগুলোতে যাতে ক্রেতা ও সুপারশপের কর্মকর্তা ও বিক্রয়কর্মীরা যথাযথভাবে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ছাড়া কেউ সুপারশপের ভেতরে যেন প্রবেশ না করে সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে এবং গ্রাহকদেরও এ বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
Advertisement
এছাড়া, আউটলেটে ক্রেতাদের বজায় রাখতে হচ্ছে শারীরিক দূরত্ব। পণ্যের হোম ডেলিভারি সার্ভিসের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। লকডাউন চলাকালেও এসব পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
ইতোমধ্যে ‘স্বপ্ন’র আউটলেটগুলোতে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সতর্কতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ক্রেতাদের স্পর্শ বেশি থাকে এমন সব স্থান যেমন- আউটলেটের দরজা, সেলফ, ফ্রিজ ইত্যাদি স্থানে জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ‘স্বপ্ন’র আউটলেটে কর্মরত কর্মকর্তা ও বিক্রয়কর্মীদের জীবাণুমুক্ত থাকার বিষয়টিও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এছাড়া মাছ ও মাংস একটা নির্দিষ্ট সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা হচ্ছে, যা খাবারকে জীবাণুমুক্ত রাখে।
লকডাউনে ‘স্বপ্ন’র গ্রাহকসেবা প্রসঙ্গে সুপারশপটির নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, লকডাউনে যাতে ক্রেতারা ভোগান্তির মধ্যে না পড়েন এবং নিরাপদে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারেন, স্বপ্ন সে চেষ্টা করে যাচ্ছে। স্বপ্নের আউটলেটগুলোতে কর্মকর্তা ও বিক্রয়কর্মীদের কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। নিরাপদ পরিবেশেই ক্রেতারা স্বপ্ন থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, শাক-সবজি, মাছ-মাংস, আলু-পেঁয়াজ থেকে শুরু করে বাসার নিত্যপ্রয়োজণীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যও পাওয়া যায় ‘স্বপ্ন’র আউটলেটগুলোতে। এছাড়া গ্রাহকরা প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন স্বপ্নের হটলাইনে (১৬৪৬৯)।
Advertisement
আইএইচআর/এমএসএইচ/এএসএম