জাতীয়

৩০ টাকার রিকশা ভাড়া ১০০, পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিনে গণপরিবহনশূন্য রাজধানী। নগরীর অলিগলি ছাড়াও প্রধান সড়কে রয়েছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশার দাপট। তবে বিপাকে পড়া নগরবাসীকে জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে রিকশাচালকদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

যাত্রীরা বলছেন, সব ক্ষেত্রেই তারা ভাড়া বেশি চাচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা পর্যন্ত চাচ্ছেন। উপায় না পেয়ে সে ভাড়াতেই বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। আবার অনেকেই পায়ে হেঁটেও গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছেন।

সোমবার (৫ এপ্রিল) মিরপুর, গাবতলী, আগারগাঁও, শ্যামলি, মহাখালী ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন গন্তব্যে পায়ে হেঁটেই যেতে দেখা গেছে নাগরিকদের।

মিরপুর ১০ নম্বরে হাসপাতালে যাবেন নাজমুন নাহার। তিনি বলেন, ‘মিরপুর গাইনি হাসপাতালে বোন ভর্তি। খাবার নিয়ে যাব। কিন্তু রিকশা ভাড়া চাচ্ছে তিনগুণ। ৩০ টাকার ভাড়া চাচ্ছে ১০০ টাকা। এটা তো অন্যায়। লকডাউন ঠিক আছে, কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে আমরা যারা বের হয়েছি তারা বিপদে পড়েছি। বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়াই দিতে হয়েছে। ’

Advertisement

তবে রিকশাচালকরা দাবি করেছেন, লকডাউনের সময় তাদের জমা বেড়ে যায়। তাই তাদের অতিরিক্ত ভাড়া নিতে হয়।

শহিদুল নামের একজন চালক জানান, আজ জমা বেশি। তাই ভাড়া একটু বেশি বলছেন। আবার রাস্তায় রিকশা ধরলে জরিমানাও দিতে হচ্ছে।

তাওহিদ নামে একজন বলেন, ‘বাসা থেকে বের হয়ে কোনো যানবাহন পাইনি। রিকশা ভাড়া চেয়েছে কয়েকগুণ বেশি। কিন্তু অফিসে আসতেই হয়েছে। তাই হেঁটেই চলে এসেছি। ১ ঘণ্টার বেশি হাঁটতে হয়েছে।’

করোনার সংক্রমণ ফের বাড়ায় সোমবার সকাল ৬টা থেকে আগামী রোববার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

Advertisement

এসএম/এমএইচআর/এমকেএইচ