করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বেড়ে চলছে। রেকর্ড পরিমাণ রোগী সনাক্তের পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করছেন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখার বিকল্প নেই।
Advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত সচেতনতার পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধের প্রথম ধাপ হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। এর ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের যে মারাত্মক লক্ষণ অর্থাৎ শ্বাসযন্ত্র এবং পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ, সেগুলো সহজে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সচেতন থাকার পরও যদি এ সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে ভয় না পেয়ে বরং সুস্থতার জন্য সব নিয়ম-কানুন মেনে চলা জরুরি। এ সময় ভিটামিন সি জাতীয় খাবারের বিকল্প নেই। কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিনের বেশিরভাগই পাওয়া যায় বিভিন্ন ফলে।
তবে কোন কোন ফলে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে এবং এ সময় কোন ফলগুলো খাওয়া উচিত, তা জানা নেই অনেকেরই। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক করোনাকালে যেসব ফল খেলে মিলবে সুস্থতা-
Advertisement
আমলকি: পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারার চেয়েও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এ ছাড়াও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ বেশি থাকে ভিটামিন সি।
আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে।
একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি দরকার। এ পরিমাণ ভিটামিন সি দিনে মাত্র ২টি আমলকি খেলেই পূরণ করা সম্ভব।
লেবু: করোনা থেকে বাঁচতে লেবু ও গরম পানি পানের বিকল্প নেই। ভিটামিন সি এর অভাব পূরণে লেবু হলো প্রথম ও প্রধান উৎস। এটি সবার রান্নাঘরেই থাকে। এ ছাড়াও বাজারে সহজলভ্য।
Advertisement
এজন্য করোনায় আক্রান্ত হলে এমনকি সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এ সময় লেবু খাওয়ার বিকল্প নেই। সকালে খালি পেটে লেবু রস ও হালকা গরম পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
অন্যান্য ফল: করোনা হলে ভিটামিন সি’ জাতীয় অন্যান্য ফল যেমন- আঙুর, পেয়ারা, আপেল, পেঁপে, শসা, কলা, তরমুজ এসবও খাওয়া যাবে। নিয়ম করে অন্তত ৩-৪ রকম ফল খেতে হবে এ সময়। সকালের নাস্তায় একটি কলা ও আপেল বা পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে।
দপুরে ভাত খাওয়ার আগে কয়েক টুকরো পেঁপে বা তরমুজ খেতে পারেন। আঙুর, পেঁপে, তরমুজ, কলা টুকরো করে সামান্য মধু মিশিয়ে ফ্রুট সালাদ করে খেলে শরীর অনেক পুষ্টি পাবে একসঙ্গে। সকাল বা বিকেলের নাস্তার সময় ফ্রুট সালাদ খেতে পারেন।
প্রতিদিন যদি ফল খেতে ভালো না লাগে; তাহলে টক দই মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেলে ভালো লাগবে। সব ধরনের ফলেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ফোলেট, ডায়েটারি ফাইবার, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এসব পুষ্টি উপাদানসমূহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার সক্ষমতা আছে।
সূত্র: হেলথলাইন।
জেএমএস/এসইউ/জিকেএস