মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউনের শুরুর দিনে নিষেধাজ্ঞার কারণে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল সবই চলছে। মানুষও রাস্তায় বের হয়েছে।
Advertisement
ফলে রাজধানীর কোনো কোনো জায়গায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই ট্রাফিক সামাল দিতে হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের। এমনকি কিছু সিগন্যালে ছোটখাটো যানজটও দেখা গেছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে রামপুরা অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় যাত্রীবাহী বাস নেই। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের বেশ চাপ রয়েছে।
রিকশায় চেপে অফিসের পথে যাত্রা করা মরিয়ম বলেন, ‘মতিঝিলে অফিস। লকডাউন দিলেও অফিস খোলা রয়েছে। সুতরাং অফিসে যেতেই হবে। গাড়ি বন্ধ থাকায় বাড়তি খরচ করে বাধ্য হয়ে রিকশায় যাচ্ছি।’
Advertisement
অফিসে যাওয়ার জন্য রামপুরার একটি স্থানে বেশ কয়েকজনকে জড়ো হতে দেখা যায়। তারা প্রত্যেকেই একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। রাসেল নামে তাদের একজন বলেন, ‘আমাদের অফিস খোলা। কোম্পানির গাড়ির এসে নিয়ে যাওয়ার কথা। এ কারণে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি।’
মালিবাগের আবুল হোটেল মোড়ে এসে দেখা যায়, গাড়ির বেশ চাপ রয়েছে। মোড়টিতে একতলা ও দ্বিতল কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস দেখা যায়। বাসগুলোর ভেতরে যাত্রীও দেখা যায়। তবে এসব বাসের যাত্রী বা চালক কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মোড়টিতে কথা হয় ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হওয়া আশফাক আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অফিস খোলা থাকলে বাসা থেকে বের হতেই হবে। সবার পরিবার আছে। রুটি-রুজির চিন্তা আছে। সুতরাং অফিস খোলা থাকলে করোনার ভয়ে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই।’
সেখানে দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য বলেন, ‘সকালে রাস্তায় গাড়ি বেশ কম ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির চাপও বেড়েছে। এ কারণে আমাদের ট্রাফিক সামাল দিতে হচ্ছে।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যাত্রীবাহী পরিবহন চলছে না। তবে রিকশা, সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে তিন দিক থেকে ট্রাফিক সিগন্যাল দিতে হচ্ছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ চাপ কম।’
মতিঝিল, কাকরাইল, পল্টন, শাহবাগ অঞ্চল ঘুরেও প্রচুর পরিমাণে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, রিকশা মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।
মোটরসাইকেল নিয়ে বের হওয়া শহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় শাহবাগ মোড়ে। তিনি বলেন, ‘লকডাউন হলে কি! অফিস তো বন্ধ নেই। আগের মতোই অফিসে যাচ্ছি।’
এমএএস/এমএইচআর/এমকেএইচ