নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদীর বালু মহলের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আওয়ামী লীগ নেতা নাছির মেম্বারের বাহিনীর লোকজন হারুন বাহিনীর সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালানোর ফলে সংঘর্ষের রূপ নেয়। বুধবার উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চল চরকিশোরগঞ্জ এলাকার চরহোগলা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ বালু মহলের ইজারা নিয়ে মেঘনা নদী পরিবেষ্টিত উপজেলার চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় শম্ভূপুরা ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার আরেক আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদ বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে বুধবার নাছির মেম্বারের নেতৃত্বে দুইভাই জানে আলম ও টুকুসহ একটি বাহিনী বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হারুন বাহিনীর লোকজনের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে প্রায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে হারুন বাহিনীর লোকজন তাদেরকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসীদের শর্টগানের গুলিতে আলম, ফারুক, জয়নাল, দেলোয়ার, সাইফুল, মঞ্জুর হক, গাফ্ফার, আরিফ, আল-আমিন ও ইয়াসিনসহ ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া আরও কয়েকজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আলম ও ফারুকসহ দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।এদিকে নাছির মেম্বারের লোকজন হারুন মিয়ার সমর্থকদের তিনটি মোটরসাইকেল ও মেঘনা নদী থেকে একটি স্পিডবোডসহ ছয়টি ট্রলার লুট করে নিয়ে যায়। সােনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের জাগো নিউজকে জানান, নাছির মেম্বারের লোকজনের শর্টগানের গুলিতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। এসময় হামলাকারীরা ৩টি মোটরসাইকেল, একটি স্পিডবোড ও ছয়টি ট্রলার নিয়ে যায় ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে লুটপাট চালিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মো. শাহাদাত হোসেন/এমজেড/পিআর
Advertisement