দেশজুড়ে

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি : ৫ নারীর মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও চার নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। সন্ধ্যায় এ ঘটনায় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তবে তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এছাড়া এখন পর্যন্ত ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

রোববার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান, নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মীনা মাহমুদা।

তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে ডুবুরিরা চারজন নারীকে উদ্ধারে করেছে। চারজনই মৃত। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো জানতে পারেনি আমরা। আরেকজন তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তিনি মারা যান। তবে এখনো এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

উদ্ধার অভিযানে এক সঙ্গে কাজ করছে- ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড ও উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।

Advertisement

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর মদনগঞ্জের কয়লাঘাট এলাকায় লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম জানান, শীতলক্ষ্যা নদীতে চায়না ব্রিজের নিচে সাবিত আল হাসান নামে একটি লঞ্চ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে গেছে। ঘটনাস্থলে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল জানান, লঞ্চটি সন্ধ্যা ৬টার কিছু সময় পর নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যায়। পথে এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ডুবে যায়।

একই ঘটনা প্রসঙ্গে মুন্সিগঞ্জ নৌ-পুলিশের কর্মকর্তা কবির হোসেন খান জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জ আসছিল লঞ্চটি। মদনগঞ্জের কয়লাঘাট এলাকায় বালুবাহী বাল্কহেড ধাক্কা দিলে লঞ্চটি ডুবে যায়। ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী জাহাজ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।

Advertisement

এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক) মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

টিটি/এআরএ