প্রথম ওয়ানডেতে রাশি ফন ডার ডুসেনের অসাধারণ সেঞ্চুরিকে ম্লান করে দিয়েছিলেন বাবর আজম। পাল্টা সেঞ্চুরি করে ২৭৩ রানের বিশাল লক্ষ্যও পাড়ি দিয়ে ফেলে পাকিস্তান। পাকিস্তানও জয় পায় ৩ উইকেটে।
Advertisement
আগের ম্যাচে যেহেতু ২৭৩ রান করেও জয় সম্ভব হয়নি, ফলে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক প্রোটিয়ারা আরেকটু এগিয়ে। এবার তারা পাকিস্তানের সামনে ছুঁড়ে দিয়েছে ৩৪২ রানের বিশাল এক চ্যালেঞ্জ।
যদিও আজ প্রোটিয়াদের ইনিংসে একটিও সেঞ্চুরি নেই। মোট চারটি হাফ সেঞ্চুরি। তাতেই ৩৪১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তুলেছে প্রোটিয়ারা।
জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। আমন্ত্রি হয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখি স্বাগতিকদের দুই ওপেনার। ৯.৩ ওভারে ৫৫ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন ওপেনাররা। ৩৪ বলে ৩৯ রান করে বিদায় নেন এইডেন মারক্রাম।
Advertisement
তবে কুইন্টন ডি কক আর অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা মিলে গড়ে তোলেন ১১৪ রানের বিশাল জুটি। ৮৬ বলে ৮০ রান করে আউট হন কুইন্টন ডি কক। ১০ বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কার মার মারেন তিনি।
টেম্বা বাভুমা খেলেন ৯২ রানের ইনিংস। ১০২ বলে তিনি ইনিংসটি সাজান ৯টি বাউন্ডারিতে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাশি ফন ডার ডুসেন খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। তাও মাত্র ৩৭ বলে। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ৪টি।
ডেভিড মিলারও ব্যাট হাতে ছিলেন বিধ্বংসী। ২৭ বলে তিনি খেলেন অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস। ৩টি করে চার এবং ছক্কার মার মারেন তিনি। হেনরিক্স ক্লাসেন করেন ১১ রান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৪১ রান।
পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাসনাইন এবং ফাহিম আশরাফ।
Advertisement
জবাব দিতে নেমে অবশ্য আজ পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা চরমভাবে ব্যর্থ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩১.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করেছে ১৬৫ রান। ওপেনার ফাখর জামানই ধরে রেখেছেন সফরকারীদের। ৭৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন তিনি। ৩১ রান করেছেন বাবর আজম। ১৬ রানে ব্যাট করছেন আসিফ আলি।
আইএইচএস/জেআইএম