করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে লকডাউন ঘোষণায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বাড়ি ফেরার জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় জমেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পরিবহনগুলো গাদাগাদি করে যাত্রী নেয়া ও প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Advertisement
সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তবে রোববার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘরমুখো মানুষরা যাত্রা শুরু করেন। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন ও বাসস্টেশন এলাকায় যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে ঘরে ফিরতে হচ্ছে তাদের। প্রশাসনিক তেমন কোনো নজরদারিও চোখে পড়েনি। দেখা গেছে গাড়ির দীর্ঘলাইন।
আবুল কালাম নামের এক যাত্রী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ যাব। কিন্তু কোনো টিকিট পাচ্ছি না। কাউন্টারের লোকজন অতিরিক্ত ভাড়া চাইতাছে। ৬শ টাকার ভাড়া ২ হাজার টাকা চাইতাছে।’
Advertisement
রুয়েল আহমেদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ঢাকা যাব কিন্তু সিট পাচ্ছি না।
সুনামগঞ্জ যাওয়ার জন্য সকাল থেকে বাসস্ট্যান্ডে বসেছিলেন হাফিজা সুলতানা নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে টিকিট কাটছি। কখন গাড়ি আসবে তা-ও বলতে পারছি না।
মডার্ন কাউন্টারের মালিক মো. কুতুব বলেন, গাড়ির তুলনায় যাত্রী অনেক বেশি। লকডাউন ঘোষণা করায় সবাই বাড়ি ফিরছেন। তাই যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড ভিড় সকাল থেকেই। আমরাও আছি। যাত্রীদের যাতে কোনো হয়রানি করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে বলে দবি করেন তিনি।
Advertisement
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এসআর/জেআইএম