করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ৫-১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনে যাচ্ছে গোটা দেশ। এরই প্রেক্ষিতে ঝিনাইদহের বিভিন্ন বিপণী বিতান ও হাট-বাজারে বেড়েছে মানুষের ভিড়।
Advertisement
তবে কেউ মানছে না সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি। ক্রেতারা যেমন স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তেমনি মানছেন না দোকানিরা। এদিকে আগামীকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে দোকান মালিক সমিতি। রোববার (৪ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, একদিকে শুরু হচ্ছে লকডাউন। আবার সামনে আসছে রমজান মাস। এজন্য অনেকেই যেমন কাঁচাবাজারে যাচ্ছেন। অনেকে আবার কিনে রাখছেন কাপড়-চোপড়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউই।
শহরে কাপড় কিনতে আসা আসমা বেগম বলেন, ‘শুনেছি কাল থেকে লকডাউন। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে জানি না। আজকেই প্রয়োজনীয় কিছু কাপড় কিনে রাখলাম’।
অপর ক্রেতা রকি বিশ্বাস জানান, লকডাউন কালকে থেকে শুরু। এরপর আবার রমজান মাস আসছে। তাই কিছু বাজার করতে এসেছি।
Advertisement
স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি কেউ।
অন্যদিকে লকডাউনের ঘোষণায় হাটবাজারে মানুষের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়ে চলে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
এসময় গাদাগাদি করে কেনাকাটা করায় ও দোকানে স্যানিটাইজিং ব্যবস্থা না থাকায় দোকান মালিকসহ ২৯ জনকে বিভিন্ন অঙ্কে জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেদায়েত উল্লাহ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে নিয়মিতই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। লকডাউনের কথা শুনে সাধারণ মানুষ বাইরে বেশি বের হয়েছে। ফলে হাটবাজার ও মার্কেটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে অভিযান করছি।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসএমএম/জিকেএস
Advertisement