বর্তমানে সরকারের চরম উদাসীনতা, অব্যবস্থাপনা, অযোগ্যতা এবং করোনা নিয়ে দুর্নীতির কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অভিযোগ করে এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
Advertisement
শনিবার (৩ এপ্রিল) দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এক ভার্চুয়াল সভায় বসেন। সভায় তারা এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সভায় দলের সব স্তরের নেতা-কর্মী এবং জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই ভয়ঙ্কর মহামারি মোকাবিলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’
পাশাপাশি সংক্রমণ রোধে কার্যকরী ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা সেবা, ভ্যাকসিন প্রদান এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি লকডাউনে অসহায়, দরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের মানুষকে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
Advertisement
সভায় সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদ মিছিলে হামলা ও গুলিবষর্ণের প্রতিবাদে বিএনপির ২৭ ও ২৮ মার্চের কর্মসূচিতে বাধা ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার, মামলা এবং অজ্ঞাতনামা আসামির অজুহাতে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নারী নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার এবং তিন দিনের রিমান্ড শেষে জামিন না দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। অবিলম্বে নিপুণ রায় চৌধুরীসহ যুবদল ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি মজনুসহ সব নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সভায় জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনা এবং শেখ সেলিমের বক্তব্যের নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। আওয়ামী নেতৃবৃন্দের এই ধরনের উষ্কানিমূলক বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে বিএনপি নেতারা মত দেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জনাব ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
কেএইচ/এসএস/জেআইএম