দেশজুড়ে

বিষখালী নদীর ভাঙন রোধের দাবিতে মানববন্ধন

বরগুনার বামনা উপজেলার বিষখালী নদী তীরবর্তী রামনা ইউনিয়নে গত কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙনে ফলে সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কয়েক হাজার অধিবাসী। এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে ভাঙনের তীব্রতা হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।বিষখালী নদীর রামনা ইউনিয়নে নদী তীরবর্তী ভাঙনের কবল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাইক্লোন শেল্টার, কৃষি জমিসহ মানুষের বসত-ভিটা রক্ষা করার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার দুপুরে রামনা ইউনিয়নের লঞ্চ ঘাট এলাকার নদীর তীরে এ মানববন্ধন পালিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে প্রায় দুই সহস্রাধিক নদীর তীরবর্তী বাসিন্দা অংশগ্রহণ করেন।মানববন্ধন চলাকালীন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বামনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইতুল ইসলাম লিটু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফেরদৌস সাব্বির তালুকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন্নাহার নাজু, রামনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জমাদ্দার প্রমুখ। মানববন্ধন চলাকালীন সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রামনা ইউনিয়নের প্রায় ছয় কিলোমিটার ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই দ্রুত ভাঙন রোধ করা না গেলে এই ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাইক্লোন শেল্টারসহ দুই সহস্রাধিক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।রামনা ইউনিয়নের রামনা গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহ আলম (৪৭) জাগো নিউজকে জানান, গত একযুগ ধরে রামনা এলাকায় বিষখালী নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকলেও, এখন পর্যন্ত ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তিনি আরও জানান, অব্যাহত নদী ভাঙনের ফলে ইতোমধ্যে রামনা গ্রামের প্রায় ১২শ একর কৃষি জমি ও পাঁচ শতাধিক ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।রামনা ইউনিয়নের রামনা গ্রামের আরেক বাসিন্দা মো. আলতাফ (৪০) জাগো নিউজকে জানান, গত কয়েক দিন ধরে নদীর ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রামনা গ্রামের এক কিলেমিটার বেড়ি বাঁধের অধিকাংশই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করে যদি জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়, তাহলে রামনা ইউনিয়নের পাঁটি গ্রামে জলোচ্ছাসের আশঙ্কা রয়েছে। এসময় তিনি বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙন থেকে রামনা জনপদ ও মানুষের জীবন সুরক্ষার দাবি জানান।এ বিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এস.এম শহীদুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ভাঙন কবলিত এলাকা সম্প্রতি পরিদর্শন করে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো প্রকল্পটি এখন পর্যন্ত অনুমোদন হয়নি। তাই তাৎক্ষণিকভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এমজেড/আরআইপি

Advertisement