সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
Advertisement
রোববার (৪ এপ্রিল) সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিওবার্তায় এ কথা জানান কাদের।
তবে পণ্যপরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ওষুধ, পচনশীল, ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্টস সামগ্রী এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
পরে ক্রম অবনতিশীল করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে রোববার দুপুরে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
Advertisement
প্রজ্ঞাপনে এই সময়ে প্রতিপালনের জন্য ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।
এদিকে, লকডাউনের ঘোষণার পর রাজধানীর রেল স্টেশনগুলোতেও দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লেগেছে। হুড়োহুড়ি করে ট্রেনে উঠছেন যাত্রীরা। লোকাল ট্রেনগুলোতে শোভন চেয়ারে এক সিটে একজন করে বসার কথা থাকলেও তিন থেকে চারজন করে বসছেন। তাদের কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন দিতে যাচ্ছে সরকার। লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সরকারি বেসরকারি-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে শিল্পকারখানা। শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
এসইউজে/এমএএস/আরএমএম/এসএস/জিকেএস
Advertisement