লকডাউনের খবরে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই বড় ধস দেখা দিয়েছে। শেয়ারবাজার খুলতেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৮৫ পয়েন্ট নেই হয়ে গেছে।
Advertisement
এর আগে শনিবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সারাদেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
এই লকডাউন সম্পর্কে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দুপুরে জাগো নিউজকে জানান, লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সরকারি বেসরকারি-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে শিল্পকারখানা।
এর প্রেক্ষিতে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, কী ধরনের লকডাউন হবে এখনই তা স্পষ্ট না। এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তবে আমরা আপাতত আগের সিদ্ধান্তেই আছি। যদি ব্যাংক খোলা থাকে, তাহলে লকডাউনের মধ্যেও শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে।
Advertisement
এরপর শনিবার রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডিএসই জানায়, শেয়ারবাজারে লেনদেন চলমান থাকবে। তবে চলমান প্রি-ওপেনিং সেশন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
এমন পরিস্থিতিতে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ বাড়ি দেন। দাম কমিয়ে অনেকে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব দেন। কিন্তু ক্রেতার সংকট দেখা দেয়। এতে অনেক কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা নেই হয়ে গেছে।
১০টা ১২ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৮ পয়েন্টে পড়ে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৩৯ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৫৯ পয়েন্ট।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৫টির। আর ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৪৮ টাকা।
Advertisement
এমএএস/বিএ/এমএস