করোনাভাইরাস সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ের কবলে পড়েছে ইরান। গত মাসে ইরানী নববর্ষ ‘নওরোজ’ এর ছুটিতে লাখ লাখ মানুষ ভ্রমণ করার পর নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে গেছে দেশটিতে।
Advertisement
ইরানের ৩২টি প্রদেশের মধ্যে দুটি প্রদেশে সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ চলছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এগুলো হল তেহরানের কাছাকাছি আলবোর্জ ও পশ্চিমাঞ্চলের ইলাম প্রদেশ। এছাড়া রাজধানী তেহরানসহ ৭টি প্রদেশেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শনিবার ইরানের জাতীয় করোনারোধী টাস্ক ফোর্সের এক অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ‘আমরা যদি প্রয়োজনীয় বিবেচনা না করে থাকি তাহলে অন্যান্য প্রদেশেও এই ঢেউয়ের মুখোমুখি হতে পারি। সুতরাং আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার।’
ইরানে এখন পর্যন্ত ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬৩ হাজার জনের।
Advertisement
সংক্রমণের এই বৃদ্ধির ফলে দ্রুতই হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও মৃত্যু বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
গত ২০ মার্চ নওরোজের ছুটির কারণে অনেক ইরানি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই গিয়েছিলেন উত্তরে কাস্পিয়ান সাগরের প্রকৃতি ঘেরা অঞ্চলে।
যদিও কর্মকর্তারা এ বছর ভ্রমণের বিরোধী ছিলেন, কিন্তু লাল অথবা কমলা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন শত শত শহরে যেতে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বাধা ছিল না।
করোনারোধী টাস্ক ফোর্সের মুখপাত্র আলিরেজা রায়েইসি বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ভ্রমণ একশ শতাংশ বেড়েছে।
Advertisement
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অন্তত ১৫ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত জেনেও তারা নওরোজের সময় বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণে গিয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের গুরুতর অবস্থা নির্দেশে যথাক্রমে লাল, কমলা, হলুদ ও নীল রঙে ভাগ করা হয়েছে ইরানের শহরগুলো। সবচেয়ে গুরুতর অবস্থা লাল শহরগুলোতে ও সবচেয়ে নিরাপদ অবস্থা নীল শহরগুলোতে। দাপ্তরিক তালিকা অনুযায়ী, ৪৭টি শহর লাল, ১২৬টি শহর কমলা, ২৪৭টি শহর হলুদ ও মাত্র ১৪ টি শহর এখন নীল তালিকাভুক্ত রয়েছে।
এমকে/জিকেএস