মো. জাহাঙ্গীর আলম
Advertisement
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর মেয়ে নাজমা খাতুন এসএসসি পাস করে কোলের শিশুকে নিয়ে হোস্টেলে থেকে প্যারামেডিকসের ওপর পড়াশোনা শেষ করেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করেছেন কয়েক বছর। প্যারামেডিকসের চাকরি করার সময় যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে উদ্যোক্তা বিষয়ে কয়েকটি প্রশিক্ষণ নেন। নাজমা সব সময় ভাবতেন, তাকে চাকরির চেয়েও বড় কিছু করতে হবে। মনে মনে ভাবতেন, একদিন ব্যবসা শুরু করবেন। সফল উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান তৈরি করবেন। এ মনোবাসনা নিয়ে তিনি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (স্কিটি) থেকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ নেন। তার স্বামী একটি জুতার কারখানার মার্কেটিং ম্যানেজার। তিনি স্বামীকে জানালেন উদ্যোক্তা হবেন। একটি জুতার কারখানা করবেন। কাজটি কঠিন হলেও নাজমা শেষপর্যন্ত স্বামীকে বোঝাতে সক্ষম হন।
২০০৫ সালে ঢাকার বাড্ডায় ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষে সমিতি থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে নাজমা ও তার স্বামী ছোট পরিসরে একটি মেশিন ও দু’জন কর্মচারী নিয়ে জুতার ফ্যাক্টরি করেন। দুই মেয়ের নামানুসারে নাম দেন ‘কুসুমকলি স্যু ফ্যাক্টরি’। কয়েক মাসের মধ্যেই নাজমা খাতুন বুঝতে পারলেন কারখানা চালাতে আরও পুঁজি লাগবে। একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। দেশের বৃহত্তম জুতার মার্কেট ফুলবাড়িয়ার বিভিন্ন দোকানে জুতা সরবরাহ শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যেই বে-ইম্পেরিয়াম, জেনিস, বাটা স্যুসহ দেশের বৃহত্তম তিনটি স্যু কোম্পানিতে কুসুমকলি স্যু ফ্যাক্টরির উৎপাদিত জুতা সরবরাহ শুরু করেন।
২০১২ সালে ফ্যাক্টরির কার্যক্রম দেখে একটি বেসরকারি ব্যাংক ৪৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়। ৬৫ জন কর্মচারী নিয়ে নাজমার সু ফ্যাক্টরি এগিয়ে চলছিল। হঠাৎ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা আগুনে পুড়ে যায় কারখানাটি। ক্ষতি হয় প্রায় সোয়া কোটি টাকা। ব্যাংকে জমা থাকা ১৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা দিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ান নাজমা। বর্তমানে কারখানায় ২০০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মালয়েশিয়ায় নাজমার তিনটি শো-রুমে জুতা বিক্রি হচ্ছে। চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন করে নাজমা খাতুন মাঝারি শিল্পখাতে একজন সফল নারী শিল্পোদ্যোক্তা। অর্জন করেছেন এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে শ্রেষ্ঠ মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তা পুরস্কার। নাজমা খাতুন যেমন নিজের আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করে সফল নারী উদ্যোক্তা হয়েছেন; তেমনই তৈরি করেছেন শত শত মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ। এভাবে অবদান রাখছেন জাতীয় অর্থনীতিতে। অদম্য মানসিকতা, সাহসিকতা, সততা এবং কঠোর পরিশ্রমই এনে দিয়েছে তার এ সফলতা। লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনার পর চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন করে তানিয়া ওয়াহাব হয়েছেন একজন সফল নারী শিল্পোদ্যোক্তা। পরিবারের কেউ ব্যবসা-বাণিজ্যে না থাকলেও নিজের মনোবল দিয়ে চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের কাজ শুরু করেন ২০০৫ সালে। তিনিও অর্জন করেছেন সফল নারী শিল্পোদ্যোক্তাসহ অনেক পুরস্কার। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি গ্রামের মেয়ে রেজবীন বেগম পেশায় শিক্ষিকা ছিলেন। ২০১৪ সালে একজন কর্মী ও একজন সহযোগী নিয়ে গড়ে তোলেন পিপলস ফুটওয়ার অ্যান্ড লেদার গুডস নামের চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। আজ তিনি সফল নারী শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অর্জন করেছেন সফল নারী শিল্পোদ্যোক্তার পুরস্কার। নাজমা খাতুন, তানিয়া ওয়াহাব এবং রেজবীন বেগমের মতো শত শত নারী শিল্পোদ্যোক্তা দেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন করে নিজেদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি সৃষ্টি করছেন হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ। দেশের অর্থনীতিতে চামড়াজাত শিল্পের অবদান দিন দিন বাড়ছে। নারী শিল্পোদ্যোক্তাদের উৎপাদিত চামড়াজাত পণ্য দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে।
Advertisement
দেশের কর্মসংস্থান তৈরি ও শিল্পায়নে এ খাতের ভূমিকা অনেক পুরোনো। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে চামড়া শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও রফতানি- উভয় পর্যায়েই দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে খাতটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। শিল্পোৎপাদন ও দেশের জিডিপিতে এ খাতের অবদান যথাক্রমে প্রায় ২ শতাংশ ও ০.৬ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনে সরাসরি নিয়োজিত প্রায় ৬ লাখ এবং পরোক্ষভাবে প্রায় ৩ লাখ মানুষ। রফতানি বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় খাতগুলোর অন্যতম চামড়া শিল্পখাত। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি শিল্প চামড়া ও চামড়াজাত উৎপাদিত পণ্য। চামড়া শিল্পের ভ্যালু এডিশন ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে যে আয় হয়, তার বিপরীতে এ খাতে ব্যবহার করা রাসায়নিক ছাড়া আর তেমন কিছু আমদানি করতে হয় না। তৈরি পোশাকে ১০০ টাকা রফতানি হলে ৫০ টাকার বেশি চলে যায় এ খাতের সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানিতে। ২০১৭ সালে সরকার চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকাকে বর্ষসেরা পণ্য হিসেবে ঘোষণা করে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করেছে।
শিল্পখাত বিবেচনায় চামড়া শিল্পখাতে নারী উদ্যোক্তা এবং এ খাতে নারীর কর্মসংস্থান অনেক বেশি। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য যেমন জুতা, ব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ, মানি ব্যাগ, বেল্ট, জ্যাকেট উৎপাদন করে নারীরাও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে আসতে শুরু করেছেন অনেক আগে থেকেই। দেশে নারী উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া এবং বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত হওয়ার কারণে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ দিনে দিনে বাড়ছে। ফলে নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির পাশাপাশি নারীদের কর্মসংস্থানের হারও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের মাধ্যমে নারীদের অবদান বাড়ছে। ব্যাংক, বীমা, আর্থিক-প্রতিষ্ঠান, সমবায় সমিতির মতো সরাসরি আর্থিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ ক্রমেই বাড়ছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা যে হওয়া সম্ভব, তা এখন নারীরা জানে।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী শিল্পোদ্যোক্তার সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। মাস্টারকার্ড অব উইমেন এন্টারপ্রেনিউরসের (এমআইডব্লিউই) এক জরিপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট উদ্যোক্তার ৩১.৬ শতাংশ নারী। নারী উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে। এসএমই ওমেন এন্টারপ্রেনিউরস ডিরেক্টরি ২০১৫ অনুযায়ী, দেশে লেদার অ্যান্ড লেদার গুডসের ওমেন এন্টারপ্রেনিউরসের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। এসব নারী উদ্যোক্তা ক্ষুদ্র ও মাঝারিখাতে শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে সফল হয়েছেন। যদিও অধিকাংশ নারী শিল্প উদ্যোক্তাকেই প্রতিষ্ঠা পেতে হচ্ছে নানা বাধা অতিক্রম করে। উদ্যোক্তা নারীদের সহায়তা দিতে মহিলা বিষয়ক অধিফতরের আওতায় নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রয়াস কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত হচ্ছে ‘জয়িতা’ বিপণন কেন্দ্র এবং তৃণমূল পর্যায়ে ১৬ হাজারের বেশি নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি আছে। এ সমিতিগুলোর সদস্যদের মধ্যে আছেন অসংখ্য নারী উদ্যোক্তা এবং সফল উদ্যোক্তা।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে তৈরি হয় একটি নীতিমালা। এ নীতিমালায় নারী অংশীদারিত্ব সম্পর্কে এ খাতে সামগ্রিক সাপ্লাই-চেইনে নারীদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিকল্পে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে বলা হয়েছে। তাছাড়া এ নীতিমালা ‘খাত ও অবকাঠামো উন্নয়ন’ অংশে চামড়া শিল্পে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে এবং অসঙ্গতি দূর করতে শিল্পকারখানায় জেন্ডার বিষয়ে বিদ্যামান নীতিমালায় অনুশীলন, পর্যালোচনা, মূল্যায়ন ও সমন্বয় সাধন করার বিষয়ে উল্লেখ আছে। এ নীতিমালায় ‘দক্ষতা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন’ অংশে নারীর অংশগ্রহণসহ একটি দক্ষ জনবল গঠন করার লক্ষ্যে চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি সম্প্রসারিত করতে বৃত্তিমূলক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে উল্লেখ আছে।
Advertisement
জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ এর অধ্যায় ১০ এ শিল্পায়নে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ ও বিকাশ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। নারী শিল্পোদ্যোক্তাদের প্রাক-পরামর্শ, প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণে সহায়তা দানে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে মর্মে উল্লেখ আছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প করপোরেশন (বিসিক), বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএমই) ফাউন্ডেশন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং সেবা প্রদান করার বিষয়ে নির্দেশনা আছে। এতে আরও উল্লেখ আছে, নারী শিল্পোদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি খাতে সব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রশিক্ষণ দেবে। মাইক্রো, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পে নারী শিল্পোদ্যোক্তাগণ যেন নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারেস, সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক সহায়তা এবং প্রণোদনা প্রদানের বিষয় বিবেচনা করবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতবিহীন ঋণ প্রদানের পরিমাণ ও পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলা আছে। নারীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোর প্রচলিত নীতিমালা পর্যালোচনা ও সহজীকরণ করা হবে। আর্থিক ও ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থার সাথে সমন্বয় করে বাংলাদেশ ব্যাংক নারীবান্ধব ব্যাংকিং সেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। উচ্চমানের প্রকল্প প্রস্তাবনার জন্য নারী উদ্যোক্তাদের বন্ধকীমুক্ত ঋণ ও গ্রুপ ঋণ প্রদানের বিষয়ে বিবেচনার ব্যবস্থা থাকবে এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত শিল্পখাতে শিল্প স্থাপন ও পরিচালনায় নারী শিল্পোদ্যোক্তাগণ যাতে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সেজন্য প্রণোদনামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বাংলাদেশের একটি অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্পখাত। এ শিল্পখাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এগিয়ে আসছে। এটি এমন একটি শিল্পখাত, যেখানে সময়ের সাথে চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে হয় এবং প্রতিনিয়ত কর্মীদের নতুন নতুন বিষয়ে দক্ষ হতে হয়। চামড়াজাত পণ্য ফ্যাশন জগতের সাথে এটি সরাসরি সম্পৃক্ত। আর কাজটি নারী উদ্যোক্তারা অত্যন্ত শৈলী-সুদক্ষতার সাথে করতে পারেন। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য শিল্পের এ খাতকে আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পখাত হিসেবে গড়ে তুলতে নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। এতে তাদের ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তি লাভ দুটোই সম্ভব হবে। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের আত্মকর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি অন্য নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। ২০৩০ সালে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গঠনে উদ্যোক্তা উন্নয়নের কোনো বিকল্প। চতুর্থ শিল্প বিল্পবের এ সময় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনে নারীর সক্ষমতা ও সফলতা দেখানোর এ ক্ষণে নারী শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। নিজেকে প্রমাণ করতে হবে অসীম সাহসিকতা আর অদম্য শক্তির প্রতীক হিসেবে।
সূত্র: পিআইডি-শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম বিষয়ক ফিচার।
লেখক: সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার, শিল্প মন্ত্রণালয়।
এসইউ/এএসএম