দুই বছরেরও বেশি সময় পর বাজেট আনতে যাচ্ছে ফেডারেল সরকার। আগামী ১৯ এপ্রিল ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এ বাজেট পেশ করবেন। হাউজ অব কমন্সে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রথা মেনে বাজেট ঘোষণার সম্ভাব্য এ তারিখ ঘোষণা করেন তিনি।
Advertisement
গত বছর ২০ মার্চ বাজেট ঘোষণার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী বিল মরনো। করোনার কারণে সে সময় বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর থেকে সরকার কানাডা ইমার্জেন্সি রেসপন্স বেনিফিট, কানাডা রিকভারি বেনিফিটের মতো কর্মসূচিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।
এর ফলে বাজেট ঘাটতি ৩৮২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন পার্লামেন্টারি বাজেট কর্মকর্তা ইভস জিরুক্স। তবে জনস্বাস্থ্য বিধিনষেধে পরিবর্তন আনার ফলে কর্মসংস্থান ও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঘাটতির পরিমাণ ৪০০ বিলিয়ন ডলারও হতে পারে বলে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন এ বাজেট কর্মকর্তা।
মহামারির কারণে বিপদগ্রস্ত নারীদের শ্রমশক্তিতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বাজেটে বিস্তারিত পরিকল্পনা থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। সেইসঙ্গে চাইল্ড কেয়ারসহ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিস্তারিত পরিকল্পনাও বাজেটে থাকবে বলে জানান তিনি।
Advertisement
করোনার কারণে ব্যয় বিষয়ক সংক্ষিপ্তসার ২০২০ সালের নভেম্বরে জানিয়েছিলেন ফ্রিল্যান্ড। কানাডার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার যে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় ছাড়া শুরু হবে না সেই বার্তাও সে সময় উল্লেখ করেন তিনি।
ফ্রিল্যান্ড বলেন, সামাজিক কর্মসূচিতে ব্যাপকহারে ব্যয় ও আগামী তিন অর্থবছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থই হলো ঘাটতির পরিমাণ মহামারি পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরতে অন্ততপক্ষে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
অন্যদিকে কানাডায় আবার নতুন করে করোনার প্রকোপ বেড়ে চলেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নতুন করে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বিধিনিষেধ মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
গতবছর কানাডায় সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৯০ হাজার ৬ শত ৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ হাজার ৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ১৬ হাজার ৪২২ জন।
Advertisement
আহসান রাজীব বুলবুল/এএএইচ/এএসএম