খেলাধুলা

কোনো ম্যাচেই ফিরল না ‘চট্টগ্রাম’, অমীমাংসিত সিরিজ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচে দুই দলের সামনে সুযোগ এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে হওয়া চট্টগ্রাম টেস্টের স্মৃতি ফেরানোর। কিন্তু দুই দলের কেউই যেন সেই ঝুঁকি বা সুযোগ নিতে চায়নি। যে কারণে কোনো ম্যাচেই ফেরেনি চট্টগ্রাম, ০-০ ব্যবধানের ড্রয়েই সমাপ্তি ঘটেছে সিরিজের।

Advertisement

সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে সুযোগ এসেছিল বেশ ভালোভাবে। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরের চট্টগ্রাম টেস্টে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে যে রেকর্ড গড়েছিল ক্যারিবীয়রা, তার পুনরাবৃত্তি ঘটানো যেত অ্যান্টিগায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে।

তবে সেই সুযোগটি সেদিন নেয়নি ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের দল। শ্রীলঙ্কার দেয়া ৩৭৫ রানের লক্ষ্যে শেষদিন ৩৪১ রান করতে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সেই লক্ষ্যে ছোটেনি তারা। শেষদিন ৮০ ওভার ব্যাট করে ২০২ রান যোগ করে ড্র’তেই সন্তুষ্ট থাকে তারা। এবার দ্বিতীয় টেস্টে একই অবস্থার সামনে পড়ে শ্রীলঙ্কা।

অ্যান্টিগায় চট্টগ্রাম ফেরাতে শুক্রবার ম্যাচের শেষদিন ৩৭৭ রানের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার বাকি ছিল ৩৪৮ রান, তাও পুরো ১০টি উইকেট হাতে নিয়ে। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জটি নিতে রাজি ছিল না শ্রীলঙ্কা। ফলে নিষ্প্রাণ ড্র’তেই শেষ হয়েছে ম্যাচ। অবশ্য এতে পিচের সাহায্য বেশ ভালোভাবেই পেয়েছে তারা।

Advertisement

সাধারণত শেষদিনের পিচ হয় ব্যাটসম্যানদের জন্য মাইলফিল্ড। কিন্তু অ্যান্টিগার মাঠে শুক্রবার ম্যাচের শেষদিন যেন বোলারদের জন্য কিছুই ছিল না পিচে। এমনকি যেসব বল লেগেছে ব্যাটের কানায়, সেগুলো পিচের নিচু হয়ে যাওয়া স্বভাবের কারণে পৌঁছায়নি ফিল্ডারদের হাত অবধি। তাই লড়াই জমাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

আগেরদিন ৯ ওভারে বিনা উইকেটে করা ২৯ রান নিয়ে শুক্রবারের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। এদিন ৭০ ওভার ব্যাট করে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৪ রান যোগ করেছে তারা। ক্যারিবীয় বোলার-ফিল্ডারদের ধৈর্য্যের চরম পরীক্ষা নিয়ে শেষপর্যন্ত ড্র মেনে নেয় লঙ্কানরা।

উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮.৩ ওভার খেলে ১০১ রান যোগ করেন লাহিরু থিরিমান্নে এবং দিমুথ করুনারাত্নে। আউট হওয়ার ১১৪ বলে ৩৯ রান করেন থিরিমান্নে। করুনারাত্নে ফেরেন ৫৬তম ওভারে। তার নামের পাশে তখন ১৭৬ বলে ৭৫ রানের ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস। বাকি ২৩ ওভার বিপদ ঘটতে দেননি ওশাদা ফার্নান্দো (১১৯ বলে ৬৬) এবং দিনেশ চান্দিমাল (৬৬ বলে ১০)।

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও পরের ইনিংসে ৮৫ রান করার সুবাদে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। আর দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন লঙ্কান পেসার সুরাঙ্গা লাকমল।

Advertisement

এসএএস/এমএস