খেলাধুলা

এলবিডব্লিউ রিভিউয়ের নিয়মে পরিবর্তন আনলো আইসিসি

আম্পায়াররা অনেক সময় মাঠে দাঁড়িয়ে সব কিছু খালি চোখে ধরতে পারেন না, অনেক সময় তারা ভুল সিদ্ধান্তও দিয়ে ফেলেন। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি ভুল সিদ্ধান্ত বদলে দিতে পারে ফল। সেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান করেছে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)।

Advertisement

এখন ব্যাটিং বা বোলিং দল চাইলেই মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে। তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। তবে এই সুন্দর নিয়মের মধ্যেও কাঁটা হয়ে যেন রয়ে গেছে ‘আম্পায়ার্স কল’।

আম্পায়ারদের হাতেও কিছু ক্ষমতা রেখে দেয়া হয়েছে। যেমন-কোনো আম্পায়ার যদি ব্যাটিং বা বোলিং দলের পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত দেন, তবে সেটি একদম পুরোপুরি ভুল প্রমাণ না হলে বাতিল হবে না। আম্পায়ার্স কলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই অটুট থাকবে।

খেলোয়াড়-সমর্থকদের নানারকম দাবি থাকলেও এই ‘আম্পায়ার্স কল’ অর্থাৎ আম্পায়ারদের মাঠের সিদ্ধান্তে শ্রদ্ধা জানানোর প্রক্রিয়াটি তুলে দেয়ার পক্ষপাতী নয় আইসিসি। তবে এলবিডব্লিউ নিয়মে কিছুটা সংশোধনী এনেছে তারা।

Advertisement

অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসি ক্রিকেট কমিটির সুপারিশে আরও কিছু নিয়ম অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

নতুন নিয়ম অনুসারে, এলবিডব্লিউ রিভিউয়ে মাঠের আম্পায়ার ‘নট আউট’ দিলে আগের মতো বেলসের নিচের অংশে বল লেগেছে কিনা, শুধু তা বিবেচিত হবে না। এখন থেকে বেলসের ওপরের অংশে বল লাগলেও অর্থাৎ বেলসের কিছু অংশ পেয়ে গেলেও আউট হবেন ব্যাটসম্যান।

এর আগে বল কেবল বেলস ছুঁয়ে গেলে আর আম্পায়ার আউট না দিলে ‘আম্পায়ার্স কল’ হিসেবে বেঁচে যেতেন ব্যাটসম্যানরা। ফিল্ডিংরত দলের রিভিউ টিকে থাকতো, কিন্তু মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টাতো না। এখন থেকে সেটা পাল্টাবে।

আরও দুটি পরিবর্তন এনেছে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি। এলবিডব্লিউয়ের রিভিউ নেওয়ার আগে ব্যাটসম্যানের ব্যাটে লেগেছে কিনা, তা মাঠের আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করে নেওয়া যাবে। ব্যাটসম্যানরা দৌড়ে ঠিকমতো রান সম্পন্ন করছে কিনা, সেটাও পরবর্তী ডেলিভারির আগে যাচাই করে দেখবেন তৃতীয় আম্পায়ার।

Advertisement

এছাড়া করোনার কারণে বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ, স্থানীয় আম্পায়ার নিয়োগ, টেস্টে কোভিড-বদলি খেলোয়াড় রাখার নিয়মসহ যেগুলো সাময়িকভাবে অনুমোদন দিয়েছিল আইসিসি, সেগুলোও পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত চালু থাকবে।

এমএমআর/এএসএম