আন্তর্জাতিক

৬ মাস পর ভারতে একদিনে ৮১ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত

মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে গোটা ভারত। দেশটিতে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) ৭২ হাজার জনের করোনা শনাক্ত হয়। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮১ হাজার। গত ২৮ সেপ্টেম্বরের পর একদিনে এত সংখ্যক করোনা শনাক্ত হলো।

Advertisement

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা গোটা করোনাকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। মহারাষ্ট্রে একদিনে ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৮১ হাজার ৪৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ১৩১ জনে। করোনার নতুন প্রজাতির জন্যই সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন দিল্লি এমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।

এদিকে করোনাভাইরাসে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়ছে। ভারতে দৈনিক মৃত্যু এক মাস আগে ছিল ১০০ আশপাশে। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৯ জনে। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৪৯ জনের। কর্নাটক, দিল্লি, পঞ্জাব ও ছত্তিশগড়েও গত কয়েক দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।

Advertisement

মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ১৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। এর মধ্যে মুম্বাইয়ের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বাইয়ে আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজার ৬৪৬ জন, যা গোটা করোনা মহামারিকালে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ইতোমধ্যে এ রাজ্যের ৮০টি এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই কন্টেনমেন্ট জোনের ৬৫০টি বহুতল সিল করে দিয়েছে মুম্বাই প্রশাসন। নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করার আভাসও দিয়েছেন মুম্বাইয়ের মেয়র কিশোরী পেদনেকর।

মহারাষ্ট্রের মতো দিল্লির অবস্থারও অবনতির দিকে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার আক্রান্ত বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৯০ জন। তামিলনাড়ুতেও আক্রান্ত ২ হাজার ৮১৭ জন।

কেরল, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। কর্নাটকে লাগামছাড়া হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। সেখানে দৈনিক আক্রান্ত গত কয়েক দিনে বেড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়েছে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

Advertisement

এমএসএইচ/এমএস