জাপানের ঋণদানকারী সংস্থা জাইকার অর্থায়নে দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি সেতু প্রকল্পের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার দুপুরে হোটেল রেডিসনে জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওএসজেআই, জেএফই ও আইএইচআই এবং বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের মধ্যে এ চুক্তি সাক্ষরিত হয়।চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই জাপান সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে প্রধান প্রধান অবকাঠামোগুলোয় জাপান সরকার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছে। তিনি আরো বলেন, যে তিনটি সেতু প্রকল্পের চুক্তি আজ (বুধবার) সম্পাদিত হল, তা বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে এই তিন সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে সেতু তিনটির কাজ শেষ হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, নির্মাণ কাজের সময়সীমা ধরা হয়েছিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুরোধে জাইকা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের সময়সীমা পাঁচ বছর কমিয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে। একই বছর পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজও শেষ হবে বলে জাানান মন্ত্রী। এছাড়া প্রায় আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু তিনটি চার লেনে প্রশস্ত হবে বলেও অনুষ্ঠানে জানানো হয়। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যান চলাচল করতে পারবে। চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, জাইকা বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতাইদা, নারায়ণগঞ্জের সাংসদ শামীম ওসমান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ সিদ্দিক, সড়ক ও সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ ইকবালসহ মন্ত্রণালয় ও জাইকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এএসএস/আরএস/আরআইপি
Advertisement